কীভাবে বেইজিংয়ে করোনার নতুন সংক্রমণ ঠেকালো চীন
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে জুনের শুরুর দিকে হঠাৎ করে করোনাভাইরাসের গুচ্ছ সংক্রমণ দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে আটঘাঁট বেঁধে নামে চীনের কর্তৃপক্ষ। তার ফলও এসেছে হাতেনাতে। দ্বিতীয় দফার এই সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো কোনও করোনা রোগী পাওয়া যায়নি বেইজিংয়ে। খবর সিসিটিভির।
৫৬ দিন করোনামুক্ত থাকার পর গত ১১ জুন বেইজিংয়ে প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। রাজধানীর শিচ্যাং এলাকায় তাং বংশপদবীর ৫২ বছর বয়সী এক ব্যক্তির শরীরে করোনা ধরা পড়ে। পরে সন্ধান করে দেখা যায়, বেইজিংয়ের সবচেয়ে বড় পাইকারি মার্কেট জিনফাদি থেকে এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে।
প্রথম রোগী শনাক্তের দুইদিন পর শহরজুড়ে করোনার নিউক্লেরিক অ্যাসিড পরীক্ষা চালায় কর্তৃপক্ষ। ৩০ মে থেকে যারাই জিনফাদি মার্কেটের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এসেছে তাদের পরীক্ষা করা হয়। করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বেইজিংয়ের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের ডেপুটি ডিরেক্টর প্যাং জিনঘুয়ো সোমবার বলেছেন, রাজধানীতে এক কোটি ১০ লাখের বেশি মানুষকে পরীক্ষা করা হয়েছে।
বেইজিংয়ের স্পেশাল কোভিড-১৯ টাস্কফোর্সের ডেপুটি প্রধান ঝ্যাং কিয়াং গত ২৮ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বেইজিং এখন প্রতিদিন ১০ লাখের বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা করতে সক্ষম।
প্যাং বলেন, দ্রুত এবং ব্যাপক পরীক্ষা করোনার বিস্তার রোধের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
বেইজিংয়ে নতুন করে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ব্যাপক হারে করোনা পরীক্ষা করে শহরের কর্তৃপক্ষ। কাদের পরীক্ষা, কোয়ারেন্টিন, হাসপাতালে ভর্তি বা চিকিৎসা করতে হবে- সেগুলোর সবকিছুই নিশ্চিত করেছে তারা।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের গবেষক লি জিনমিং এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বেইজিং ব্যাপকমাত্রায় পরীক্ষার দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাইকারি মার্কেটটির কর্মী এবং এর আশপাশে বসবাসকারী ১১টি কমিউনিটিকে পরীক্ষা করা হয়েছে। ফলে দ্রুত আক্রান্ত রোগী শনাক্ত এবং সংক্রমণের চেইন ভাঙা সম্ভব হয়েছে।
এ
মন্তব্য করুন