• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

করোনায় ম্লান যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস

কামরুজ্জামান হেলাল, যুক্তরাষ্ট্র

  ০৪ জুলাই ২০২০, ১৩:১৯
coronavirus deems US independence day celebration
সংগৃহীত

করোনার অভিঘাত কমতে না কমতেই শুরু জীবন ও জীবিকার দ্বন্দ্ব। জীবন যদি না থাকে, তবে জীবিকা অর্থহীন। আর জীবন থাকলে জীবিকা অপরিহার্য। এছাড়া মানুষ বাঁচাতে, রাষ্ট্র বাঁচাতে, অর্থনীতি ও শ্রেষ্ঠত্ব রক্ষায় লকডাউন নিয়েই বা আর কত দিন চলা যায়। তাই তো জীবন-জীবিকার দ্বন্দ্ব মেটাতে, আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্ব রক্ষা করতে স্তরে স্তরে লকডাউন।

করোনার মৃত্যু ডানায় ভর করে এলো ৪ জুলাই আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস। প্রতি বছর ৪ জুলাই আসে। মহা সমারোহে, মহা গৌরবে আমেরিকানরা প্রতি বছর ৪ জুলাই স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে। সরকারি ছুটি ভোগ করে। প্যারেড করে। জাতীয় পতাকা ওড়ায়। আতশবাজির উৎসব হয়। তার আগে বড় বড় শপিংমলে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জিনিসপত্রের দামে বিশেষ ছাড় দেয়া হয়।

এবার অতীতের সেই সমারোহ থাকবে না। অতীতের নিয়মিত আয়োজনের অনেক কিছুই অনুপস্থিত থাকছে। মানুষের মনে আনন্দ নেই, তাই উদযাপনও নয় বর্ণাঢ্য। অথচ এই আমেরিকায় যতগুলো উদযাপনে সমগ্র দেশ, সমগ্র জনগোষ্ঠী মেতে ওঠে, তার মধ্যে অন্যতম ৪ জুলাই, স্বাধীনতা দিবস।

১৩টি মূল রাজ্য নিয়ে জর্জ ওয়াশিংটন, রুজভেল্ট, থমাস জেফারসন, জেমস ম্যাডিসন, জন অ্যাডামসদের নেতৃত্বে ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই ইউনিয়নের পতাকা যেদিন থেকে উড়ছে, সেদিন থেকে নানা বর্ণে, নানা বৈচিত্র্যে স্বাধীন দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। এরপর আরও ৩৭টি রাজ্য ইউনিয়নে যুক্ত হয়েছে এবং ১৩টি ডোরা দাগের সঙ্গে আরও ৩৭টি মিলে ইউনিয়ন পতাকার সৌন্দর্য ও তাৎপর্য বৃদ্ধি করেছে।

এর আগে আটলান্টিক, প্যাসিফিকে কত কত জলরাশি, কত স্রোত প্রবাহিত হয়েছে, ঝড়-ঝঞ্ঝায় কত জনপদ ওলট-পালট হয়েছে, কত যুদ্ধবিগ্রহ-মন্দা পার হয়েছে, কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের রং একটুও ফিকে হয়নি। নাগরিক জীবনে স্বাধীনতার চেয়ে বড় কিছু নেই।

প্রায় ২৫০ বছর আগে তাদের পূর্বপুরুষ যারা স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে আজ বিশ্বের এক নম্বর দেশের নাগরিক হওয়ার অহংকার এনে দিয়েছে স্বাধীনতা দিবসের এই দিনে তাদের পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করে মার্কিনিরা।

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh