করোনার টিকা তৈরির দৌড়ে এগিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না: ডব্লিউএইচও
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও’র প্রধান বিজ্ঞানী শুক্রবার বলেছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার পরীক্ষামূলক করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন সম্ভবত বিশ্বের সবার চেয়ে এগিয়ে এবং ডেভেলপমেন্টের দিক দিয়ে সবচেয়ে উন্নত। খবর রয়টার্সের।
ব্রিটিশ এই ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যেই এই টিকার বিপুল পরিমাণ উৎপাদন শুরু করেছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি করা এই ওষুধ দিয়ে ইতোমধ্যে মানুষের ওপর পরীক্ষার মাঝামাঝি পর্যায়েও আছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
ডব্লিউএইচও’র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নিশ্চিতভাবে কতটা উন্নত, কোন পর্যায়ে এগুলো আছে, আমি মনে করি এসব বিচারে সম্ভবত এগুলোই এগিয়ে থাকবে। তাই তাদের কাছ থেকে সম্ভবত দ্রুত ফলাফল পাওয়া যাবে।
মডার্নার টিকা ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে স্বামীনাথন বলেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার চেয়ে ‘খুব একটা পিছিয়ে নেই’ প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাকসিন। বিশ্বজুড়ে করোনার ২০০টির বেশি টিকা নিয়ে গবেষণা চলছে। এগুলোর মধ্যে ১৫টির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হচ্ছে।
ডব্লিউএইচও’র প্রধান বিজ্ঞানী বলেন, আমরা জানি মডার্নার টিকাও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে যাওয়ার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছে। সম্ভবত জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে এটা শুরু হবে। এজন্য ভ্যাকসিনের প্রার্থী হিসেবে তারাও খুব পিছিয়ে নেই।
তবে এই মুহূর্তে নিজেদের ভ্যাকসিন ট্রায়াল নিয়ে যা করছে এবং পরিকল্পনার দিক দিয়ে বিবেচনা করলে আমি মনে করি বিশ্বে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সুযোগ অনেক বেশি রয়েছে বলেও জানান স্বামীনাথন। এছাড়া সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরির ব্যাপারে চীনের সিনোভ্যাকসহ একাধিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং ভারতীয় গবেষকদের সঙ্গে ডব্লিউএইচও আলোচনা চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে ৯৯ লাখ ১২ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৯৭ হাজারের বেশি মানুষের। তবে সুস্থ হয়েছে ৫৩ লাখ ৬২ হাজারের বেশি মানুষ।
এ
মন্তব্য করুন