ব্রিটেনে করোনায় বেশি মারা যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ
ব্রিটেনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখেরও বেশি। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে মৃত্যু বেশি হচ্ছে দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূতদের। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলেস জুড়ে করা একটি সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে কী ঘটছে, তা জানতে মে মাসের মাঝামাঝি ওই সমীক্ষা হয় ব্রিটেনে। ২৬০টি হাসপাতালের ৩৫ হাজার করোনা রোগীর তথ্য নিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হয়। তাতে দেখা গেছে- ভারতীয়, পাকিস্তানি, বাংলাদেশি ও শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূতদের মৃত্যুহার বেশি।
এছাড়া শ্বেতাঙ্গদের চেয়ে তাদের মৃত্যুর আশঙ্কা প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষেত্রেও মৃত্যুহার বেশি, তবে দক্ষিণ এশীয়দের মতো অতটা নয়। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-এশীয়দের মধ্যে ডায়বেটিসের মাত্রা বেশি। বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী ‘ল্যানসেট’-এ এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইউয়েন হ্যারিসন বলেন, হাসপাতালে দক্ষিণ এশীয়দের মৃত্যুহার ২০ শতাংশ বেশি। তবে কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষেত্রে বিষয়টা এত মারাত্মক নয়। ওই রিপোর্টে বলা হয়, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর প্রতি হাজারে গড়ে ২৯০ জন শ্বেতাঙ্গ মারা যাচ্ছে। সেখানে দক্ষিণ এশীয়দের ক্ষেত্রে এটা হাজারে ৩৫০ জন।
হ্যারিসন জানান, হাসপাতালে ভর্তি দক্ষিণ এশীয়দের গড় বয়স অন্য করোনা আক্রান্তদের তুলনায় অন্তত ১২ বছর কম। তাদের ডিমেনশিয়া নেই, ফুসফুসের রোগ নেই, তারা মোটাও নন। কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি তাদের। ৪০ শতাংশ দক্ষিণ এশীয়ের হয় টাইপ-ওয়ান, নয়তো টাইপ-টু ডায়াবিটিস রয়েছে।
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক আরও বলেন, হাসপাতালে ভর্তি শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে ২৫ শতাংশের ডায়বেটিস রয়েছে। ডায়াবিটিস থাকলেই সংক্রমণের বিপদ ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাতে করোনা রোগীর মত্যুর আশঙ্কাও বেড়ে যাচ্ছে। তাছাড়া কিছুটা জিনগত প্রভাবও রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ
মন্তব্য করুন