শুধু গুরুতর করোনা রোগীদের দিতে হবে ডেক্সামেথাসোন: ডব্লিউএইচও
যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের চিকিৎসায় সফলতা দেখিয়েছে সস্তা একটি ওষুধ ডেক্সামেথাসোন। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, কেবল গুরুতর করোনা রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেই ডেক্সামেথাসোন ব্যবহার করা উচিত। খবর চ্যানেল নিউজ এশিয়ার।
ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক টেডরোস আধানম গেব্রেয়িসাস বলেছেন, এই ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় অবশেষে ‘আশার আলো’ দেখাচ্ছে গবেষণা। করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছে ৮৩ লাখ ২৯ হাজারের বেশি মানুষ।
মঙ্গলবার ডেক্সামেথাসনকে করোনা রোগীদের ‘জীবনরক্ষাকারী ওষুধ’ হিসেবে ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। ১৯৬০-র দশক থেকেই ফোলার চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, হাসপাতালে ভর্তি ২০ জন রোগীর মধ্যে ১৯ জনই এই ওষুধে সেরে উঠেছেন।
এমন পরিস্থিতিতে দামে সস্তা হলেও পর্যাপ্ত মজুত নিশ্চিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দেশগুলো। তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে যথেষ্ট পরিমাণ মজুত রয়েছে ডেক্সামেথাসন। এছাড়া এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন কিছু চিকিৎসক। এ বিষয়ে আরও তথ্য-উপাত্ত চেয়েছেন তারা।
এদিকে ডব্লিউএইচও’র ইমার্জেন্সি প্রোগ্রামের প্রধান মাইক রায়ান বলেছেন, যেসব দেশে এই ওষুধটি ব্যবহারের উপকারিতা পাওয়া গেছে, তাদের উচিত এটা শুধু গুরুতর করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা। তিনি বলেন, করোনা রোগীদের সারাতে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে ডেক্সামেথাসোনের। তাই যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে গুরুতরভাবে ভুগছেন এবং অবস্থা সংকটাপন্ন, শুধু তাদের জন্যই এই ওষুধ সংরক্ষণ করে রাখা উচিত।
এ
মন্তব্য করুন