• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

লকডাউনেই করোনামুক্ত নিউজিল্যান্ড ছাড়াও এই ৮ দেশ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ১০ জুন ২০২০, ১২:০১
This 8 countries beat coronavirus with lockdown
সংগৃহীত

সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যেখানে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, ঠিক সেখানেই নজির গড়েছে নিউজিল্যান্ড। গত সোমবার (৮ জুন) দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন জানিয়েছেন, নিউজিল্যান্ডে শেষ করোনা আক্রান্ত রোগীও এই রোগ জয় করে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া গত ২২ মের পর থেকে দেশটিতে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি।

চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডে প্রথম করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়। সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর দেশটিতে ১ হাজার ১৫৪ জন আক্রান্ত হয়। মৃত্যু হয় ২২ জনের। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর মূল চাবিকাঠি হচ্ছে- কঠোর লকডাউন। তবে শুধু নিউজিল্যান্ডই নয়। আরও অন্তত ৮টি দেশে এখন কোনও করোনা রোগী নেই। এই দেশগুলো হচ্ছে-

মন্টিনেগ্রো

বসনিয়া ও সার্বিয়ার সীমান্তবর্তী দেশ মন্টিনেগ্রো। ১৭ মার্চ দেশটিতে প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর মেলে। তারপর লকডাউনের পথ বেছে নেয় ৬ লাখ ২২ হাজার ৩৫৯ জনের এই দেশ। দেশটিতে লকডাউন এতটাই কঠোর ছিল যে, সবমিলিয়ে সেখানে আক্রান্ত হয় মাত্র ৩২৪ জন। গত ২৪ মে মন্টিনেগ্রোর প্রেসিডেন্ট মিলো দুকানোভিক জানান যে, তার দেশ সম্পূর্ণভাবে করোনামুক্ত হয়েছে।

ইরিত্রিয়া

আফ্রিকার ছোট দেশ ইরিত্রিয়ায় ৬০ লাখ মানুষের বাস। দেশটিতে ২১ মার্চ নরওয়ে ফেরত এক ব্যক্তির দেহে প্রথম ধরা পড়ে করোনাভাইরাস। একজন আক্রান্ত হওয়ার পরই কঠোর লকডাউন দেয় দেশটি। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয় ইরিত্রিয়ায়। গত ১৫ মে ইরিত্রিয়ার প্রেসিডেন্ট ইসাইয়েস অ্যাফওয়ের্কি ঘোষণা দেন যে, তার দেশে আর কোনও করোনা রোগী নেই।

পাপুয়া নিউগিনি

ওশেনিয়া মহাদেশের ছোট দেশ পাপুয়া নিউগিনির জনসংখ্যা ৮০ লাখ ৯০ হাজার। ২০ মার্চ দেশটিতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর দেশটিতে জরুরিভিত্তিতে জারি হয় রাত্রিকালীন কারফিউ। বন্ধ করে দেয়া হয় ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ সীমান্ত। এশিয়া থেকে যাত্রী আসাও নিষিদ্ধ করেন পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী জেমস ম্যারাপে। মাত্র ৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিল দেশটিতে। গণপরিবহন ও জমায়েত বন্ধ করেই ৪ মে করোনা মুক্ত হয়েছে এই দেশ।

সিসিলি

১৯৭৬ সালের ২৯ জুন স্বাধীন হওয়া সিসিলিতে ১৪ মার্চ প্রথম দুইজনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। করোনা ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করা হয় যুদ্ধজাহাজ। চীন, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরানের সঙ্গে সব ধরনের যাতায়াতও বন্ধ করে দেয় সিসিলি। ৯৭ হাজার ৯৬ জনের জনসংখ্যা এই দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল মাত্র ১১ জন। তারা সবাই এখন সুস্থ।

হলি সি

রোমান কোর্ট দ্বারা পরিচালিত হয় এই দেশটি। দেশটিতে একজনের শরীরে করোনা ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব ধরনের পর্যটন বন্ধ করে দেয়া হয়। বন্ধ করা হয়েছিল গণজমায়েতও। সবমিলিয়ে দেশটিতে আক্রান্ত হয় মাত্র ১২ জন। ৬ জুন সম্পূর্ণভাবে করোনামুক্ত হয় হলি সি।

সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস

ক্যারিবিয়ান এই দেশের জনসংখ্যা ৫২ হাজার ৪৪১। ২৪ মার্চ এখানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর বন্ধ করা হয় বিমানবন্দর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় সব ধরনের দোকানপাট। জারি করা হয় কারফিউ। সবমিলিয়ে মাত্র ১৫ জন আক্রান্ত হয় দেশটিতে। গত ১৯ মে নিজের দেশকে করোনামুক্ত বলে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী টিমোথি সিলভেস্টার হ্যারিস।

ফিজি

১৯ মার্চ এই দেশে প্রথম করোনা আক্রান্তর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপরই দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফ্র্যাঙ্ক বেইনিমারামা বিমান চলাচল বন্ধ করে দেন। বাইরে থেকে আসা সবার জন্য বাধ্যতামূলক করা হয় ১৫ দিনের কোয়ারেন্টিন। কঠোর লকডাউনও পালন করে এই দেশ। শেষমেশ মাত্র ১৮ জনের শরীরে পাওয়া যায় করোনা। ২০ এপ্রিল নিজেদের করোনামুক্ত হওয়ার ঘোষণা দেয় ফিজি।

পূর্ব তিমুর

এশিয়ার দেশ পূর্ব তিমুরও করোনামুক্ত হয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। ২১ মার্চ দেশটিতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে লকডাউন দেয়া হয়। এর আরও আগে থেকেই অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি থেকেই চীন থেকে মানুষের পূর্ব তিমুরে আসা পুরোপুরিভাবে নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। বন্ধ করা হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নিষিদ্ধ করা হয় গণজমায়েত। বিদেশ থেকে আসাদের জন্য ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়। এর ফলও পাওয়া যায় হাতেনাতে। মাত্র ২৪ জন আক্রান্ত হয় দেশটিতে। গত ১৫ মে সুস্থ হয়ে ওঠেন দেশের ২৪তম করোনা রোগীও। এরপরই পূর্ব তিমুরকে করোনামুক্ত ঘোষণা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিসকো গুতেরেস।

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
আরও ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত
করোনায় প্রাণ গেলো আরও ১ জনের, শনাক্ত ৪৯
আরও ৪৬ জনের শারীরে করোনা
X
Fresh