• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

ভারত মহাসাগরে বিশাল টেকটোনিক প্লেটে ফাটল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২৬ মে ২০২০, ২০:৪৮
Massive tectonic plate under Indian ocean is splitting apart
সংগৃহীত

ভারত মহাসাগরের নিচে বিশাল টেকটোনিক প্লেটে ফাটল ধরেছে। বিজ্ঞানীদের এক অংশের দাবি, শুধু ফাটলই নয়, রীতিমতো ভেঙে দুই টুকরো হয়ে গেছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অবস্থিত এই প্লেট। প্যারিসের ইন্সটিটিউট অব আর্থ ফিজিক্সের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। এই গবেষণার ফলাফল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।খবর টাইমস নাউ নিউজ, নিউজ এইট্টিনের।

এই গবেষণার সহ-গবেষক অরেলিও কৌডুরিয়ের-কারভেউরের বরাত দিয়ে লাইভ সাইন্স জানিয়েছে, এই স্ট্রাকচারটি খুব দ্রুত সরে যাচ্ছে না, কিন্তু অন্যান্য প্লানেট বাউন্ডারির তুলনায় এটার সরে যাওয়ার গতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি।গবেষকরা ২০১২ সালে ইন্দোনেশিয়ার কাছে সমুদ্রে সৃষ্টি হওয়া ৮.৬ ও ৮.২ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তি নিয়ে গবেষণা করেন। ওই ভূমিকম্পে ইন্দোনেশিয়ায় ১০ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছিল।

পুরো ব্যাপারটাই ঘটছে সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে। তাই পরিবর্তন এত সহজে মনিটর করা সম্ভব হয় না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভারত-অস্ট্রেলিয়া-কেপ্রিকর্ন টেকটোনিক প্লেটটি প্রতি বছর ০.০৬ ইঞ্চি বা ১.৭ মিলিমিটার করে সরে যাচ্ছে। এভাবে প্লেটগুলো সরে যাওয়ার কারণেই মারাত্মক ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।

প্লেটের ফাটল ধরা অংশ যে গতিতে সরছে, তাতে এক মাইল ফাঁক তৈরি হতে অন্তত দশ লাখ বছর সময় লাগবে। এই ফর্মুলা মানলে ২০ হাজার বছর পর ভয়ানক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে পৃথিবী। কিন্তু তাতেও বর্তমানে পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। কারণ পানির নিচে থাকায় প্লেটের ন্যূনতম গতি বিচ্যুতি নজরে আসা প্রায় অসম্ভব। এরকমই প্লেটের সংঘর্ষের কারণে ২০০৪ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামির ঘটনা ঘটে।