• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাংলাদেশের আকাশসীমায় ক্লিয়ারেন্স নম্বর দিতে পাইলটের ব্যর্থতা তদন্ত করবে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২৬ মে ২০২০, ১৮:০১
SIA investigating after pilot who flew into Bangladesh airspace couldn't give clearance number
চ্যানেল নিউজ এশিয়া থেকে নেয়া

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স (এসআইএ) জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশসীমা দিয়ে যাওয়ার সময় ওই এলাকার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলার ইনচার্জ ক্লিয়ারেন্স নম্বর জানতে চাইলে তা বলতে পারেননি তাদের একজন পাইলট। এখন এ ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এসআইএ। খবর চ্যানেল নিউজ এশিয়ার।

এসআইএ বলছে, এসকিউ৩২৬ ফ্লাইটটি সিঙ্গাপুর থেকে ফ্রাঙ্কফুর্ট যাওয়ার সময় মঙ্গলবার (১৯ মে) সিঙ্গাপুর সময় দুপুর ৩টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশের আকাশসীমা দিয়ে ট্রানজিট করে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পান এড়াতে ঢাকা এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) নিয়ন্ত্রণাধীন আকাশসীমা দিয়ে ওই ফ্লাইটটি যাতায়াত করে। ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড়ে ভারত ও বাংলাদেশে অন্তত ৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এসআইএ বলছে, এই রাউটিং আনুষ্ঠানিক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট প্লানে ছিল এবং বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহারের জন্য দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়া হয়েছিল।

সিঙ্গাপুরের বিমান সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশ প্রত্যেকটি ফ্লাইটের জন্য অতিরিক্ত একটি এয়ার ডিফেন্স ক্লিয়ারেন্স (এডিসি) নম্বর ইস্যু করেছে। কিন্তু ওই পাইলটের কাছে সেই নম্বর ছিল না।

এমন এক সময় এসআইএ ওই ঘটনা তদন্তের ঘোষণা দিলো যখন বুধবার ফেসবুকে পোস্ট করা এক ভিডিওতে এসকিউ৩২৬-এর পাইলট ও ঢাকা এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলারের মধ্যে বাদানুবাদের বিষয়টি সামনে আসে।

বাংলাদেশ ডিফেন্স অ্যানালিস্ট তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে করা ওই পোস্টে দাবি করে যে, সিঙ্গাপুরের ওই ফ্লাইটটি বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করেছে।

এসআইএ চ্যানেল নিউজ এশিয়াকে জানায়, যদিও এসআইএ বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি নিয়েছে; তথাপি প্রতিটি ফ্লাইটের জন্য অতিরিক্ত একটি এয়ার ডিফেন্স ক্লিয়ারেন্স নম্বর ইস্যু করেছে বাংলাদেশ।

তারা জানায়, যখন ঢাকা এটিসি এডিসি নম্বর জানতে অনুরোধ জানায়, তখন তাৎক্ষণিকভাবে তা ওই পাইলটের কাছে ছিল না; কেননা সিঙ্গাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার আগে ফ্লাইট প্লানিং প্রসেসের মাধ্যমে তা সংগ্রহ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর প্রকাশিত এক নোটিশে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনটি বাংলাদেশের আকাশসীমায় বিমানের অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার প্রথম ধাপ। কারণ এটি জাতীয় সুরক্ষার পক্ষে খুব জরুরি।

এসআইএ জানিয়েছে যে, এই ঘটনার বিষয়ে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে এসআইএ জানিয়েছে, তারা নিজে থেকেই তদন্ত শুরু করেছে এবং তাদের প্রক্রিয়াগুলো আরও জোরদার করেছে; যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৯ এপ্রিল)
নেসলের শিশুখাদ্য নিয়ে ভয়াবহ তথ্য
মেসির আগমন নিয়ে যা বললেন পাপন
‘চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন খাতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে’
X
Fresh