বন্যপ্রাণী ব্যবসা ছাড়ার বিনিময়ে অর্থের প্রস্তাব দিচ্ছে চীন
বন্যপ্রাণী ব্যবসা ছেড়ে দেয়ার বিনিময়ে খামারিদের অর্থের প্রস্তাব দিচ্ছে চীন সরকার। দেশটিতে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের জন্য অবৈধভাবে বন্যপ্রাণীর ব্যবসা দায়ী বলে এটির বিরুদ্ধে চাপ বাড়ছে। খবর জাকার্তা পোস্টের।
চীনের প্রাণী অধিকার কর্মীরা বলছে, বন্যপ্রাণী বিক্রি বন্ধের চেষ্টায় প্রথমবারের মতো খামারিদের অর্থের বিনিমিয়ে কেনার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে খাদ্য হিসেবে বন্যপ্রাণী বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে চীন। তবে গবেষণা এবং ঐহিত্যগত মেডিসিন হিসেবে বন্যপ্রাণী বিক্রি এখনও বৈধ দেশটিতে।
চীনের উহান শহর থেকে প্রথম করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এই প্রাণঘাতী ভাইরাস বাদুড় থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে চীনের দুটি প্রদেশ সেখানকার খামারিদের বিকল্প পেশা বেছে নিতে তাদের আর্থিকভাবে সহায়তায় একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব খামারিদের বোঝাতে এবং অন্য প্রাণী পালতে বা চা এবং হারবাল মেডিসিন উৎপাদন করতে শুক্রবার একটি কমপেনসেশন স্কিম ঘোষণা করেছে হুনান প্রদেশের কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এখন খামারিদের কোবরা, কিং র্যাটেলস্নেক বা র্যাট স্নেকের জন্য কেজি প্রতি ১২০ ইউয়ান এবং ব্যাম্বো রেটের জন্য কেজি প্রতি ৭৫ ইউয়ান দাম প্রস্তাব করেছে। আর সিভেট ক্যাটের দাম ধরা হয়েছে ৬০০ ইউয়ান। প্রায় দুই দশক আগে সিভেট ক্যাট থেকেই সার্স ভাইরাস ছড়িয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
হুনানের প্রতিবেশী জিয়াংশি প্রদেশও খামারি অন্য প্রাণী পালনে উৎসাহিত এবং আর্থিকভাবে সহায়তা করতে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন সংবাদপত্র জিয়াংশি ডেইলি গত সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সেখানে দুই হাজারের বেশি লাইসেন্সধারী ব্রিডার রয়েছে, যারা মূলত খাদ্য হিসেবে বন্যপ্রাণী পালন করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব প্রাণীর বাজারমূল্য প্রায় ১.৬ বিলিয়ন ইউয়ান। প্রসঙ্গত, হুনান এবং জিয়াংশি উভয়েরই হুবেই প্রদেশের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে। এই হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকেই গত বছরের ডিসেম্বরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
এ
মন্তব্য করুন