কেউ কি দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হতে পারে?
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর আবারও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উহানে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা রোগীদের মধ্যে ১০ শতাংশের শরীরে আবারও এই ভাইরাস পাওয়া গেছে।
তবে এই ভাইরাসে পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। যদিও বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, একই ব্যক্তি দুইবার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা নেই। কিন্তু উহান শহর, যেখান থেকে এই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার পর আবারও আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
উহান স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, তারা এমন কিছু ঘটনা দেখেছেন যেখানে আক্রান্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন এবং তাদের শরীরে ভাইরাসে লেশমাত্র ছিল না। কিন্তু পরে তার দ্বিতীয়বারের মতো এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
উহানের একটি হাসপাতাল ও কয়েকটি কোয়ারেন্টিন সেন্টার জানিয়েছে, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়া রোগীদের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ আবারও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। উহানের তোংজি হাসপাতাল জানিয়েছে, তাদের কাছে চিকিৎসা নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে বাড়ি ফিরে যাওয়া ১৪৭ জন রোগীর মধ্যে পাঁচজন দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। যা মোট রোগীর তিন শতাংশ। তবে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে এই সংখ্যাটা আরও বেশি ছিল। সেখানে ৫-১০ শতাংশ রোগী পুনরায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
তবে একই ব্যক্তি দুইবার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষদিকে জাপানের ওসাকা শহরে ৪০ বছর বয়সী একজন নারীর শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। তিনি ১০ হাসপাতালে থাকার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু তার শরীরে আবারও করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। একই সময় চীনের জিয়াংসু প্রদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে সুস্থ হয়ে ওঠা এক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়ে তিনদিন পর আবারও হাসপাতালে ভর্তি হন।
বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি এবং ইনফেকশন ইনস্টিটিউটের সংক্রামক রোগের অধ্যাপক এবং পরিচালক রবিন মে বলেন যে, ভাইরাল সংক্রমণের সময় রোগীর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় এবং তারা সুস্থ হয়ে ওঠার পরে এই অ্যান্টিবডিগুলো বিলীন হয়ে যায় না।
তিনি বলেন, এগুলো হাইবারনেশনে যায় এবং একই প্যাথোজেন আবার শরীরকে দূষিত করার চেষ্টা করলে এগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। সব ভাইরাসের ক্ষেত্রেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা একই ধরনের আচরণ করে।
এ
মন্তব্য করুন