করোনায় আক্রান্তদের ২৫-৫০ শতাংশের শরীরে লক্ষণ দেখা যায়নি
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৫ শতাংশের ক্ষেত্রে কোনও লক্ষণ দেখা নাও দিতে পারে। সোমবার ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও (এনপিআর)-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। খবর দ্য হিল ও সিএনএনের।
রেডফিল্ড বলেন, কভিড-19 নতুন করোনাভাইরাসের কারণে হয়, এটা ফ্লুর চেয়ে ‘সহজে’ ছড়ায়, কারণ আক্রান্ত ব্যক্তি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অসুস্থ বোধ করে না, কারও কারও ক্ষেত্রে কোনও লক্ষণই দেখা যায় না।
তিনি বলেন, এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস কারণ আমাদের লক্ষণবিহীন সংক্রামক ব্যক্তি রয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছেন অথচ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লক্ষণ দেখা যায়নি এমন ব্যক্তিও সংক্রমণ ঘটিয়ে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে দুই লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তাছাড়া যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে কভিড-19 এর পরীক্ষা করা হচ্ছে না,তাই আসলে কতজন সংক্রমিত হয়েছে তা জানা যাচ্ছে না।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার দেশটির নাগরিকদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ বাড়ি থেকে কাজ করা এবং একে অপরের থেকে অন্তত ছয় ফুট দূরে থাকার মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। যাতে করে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর রোগীর ব্যাপক চাপ না পড়ে।
সুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও এ ধরনের নিয়ম মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কেননা তারা অধিক ঝুঁকিতে জনগোষ্ঠীর মধ্যেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে।
রেডফিল্ড বলেন, আমরা যে সামাজিক দূরত্বের কথা বলছি, তা একটি শক্তিশালী অস্ত্র এবং এটা মহামারির বিস্তার রোধে সাহায্য করবে। সিডিসির পরিচালক বলেন, তিনি আশা করছেন যে বসন্তের শেষ ও গ্রীষ্মের শুরু নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে এই রোগের সংক্রমণ কমে আসবে। তবে হেমন্ত বা শীতের শুরুতে আবারও এই ভাইরাসে প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
এদিকে আইসল্যান্ডে মার্কিন বায়োটেক কোম্পানি আমগেনের একটি প্রতিষ্ঠান ডিকোড জানিয়েছে, তাদের কাছে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করতে আসা অর্ধেক মানুষের শরীরেই কোনও লক্ষণ দেখ যায়নি। ডিকোডের প্রতিষ্ঠাতা ডা. কারি স্টেফানসন সিএনএনকে বলেন, তাদের পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়েছে এমন ব্যক্তিদের ৫০ শতাংশই জানিয়েছে তাদের শরীরে কোনও লক্ষণ দেখা দেয়নি।
এর আগে বেশ কয়েকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ভাইরাসের বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এমন ব্যক্তিরা যাদের শরীরে করোনার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি বা অল্প কিছু লক্ষণ দেখা গেছে।
এ
মন্তব্য করুন