করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকর অস্ত্র হতে পারে যক্ষ্মার বিসিজি টিকা
শতাব্দী পুরনো যক্ষ্মার টিকা কভিড-19 এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হতে পারে বলে কিছু প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্যাসিলাস ক্যালমেট–গেরিন (বিসিজি) ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে কিনা তা দেখতে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালের চার হাজার স্বাস্থ্য সেবা কর্মীর ওপর এটি প্রয়োগ করবেন মুরডোক চিলড্রেন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকরা।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃরডোক চিলড্রেন হাসপাতালে সংক্রামক রোগ গবেষণার প্রধান নাইজেল কার্টিসের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ায় এই গবেষণায় সহযোগিতা করতে আন্তর্জাতিক গ্রুপ প্রেরণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
মেলবোর্নের মুরডোক চিলড্রেনস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকরা তাদের পরীক্ষায় এটা দেখবেন যে, প্রায় ১০০ বছর ধরে বহুল ব্যবহৃত বিসিজি টিকা কভিড-19 এর লক্ষণ হ্রাস করতে পারে কিনা।
গবেষকরা বলছেন যে, যক্ষ্মার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৈরি করা এই ওষুধ এখনও প্রতি বছর ১৩ কোটি শিশুকে দেয়া হয়। তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বিসিজি ভ্যাকসিন মানুষের ‘ফ্রন্টলাইন’ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, জীবাণুর বিরুদ্ধে তীব্রতার সঙ্গে লড়াইয়ে প্রশিক্ষিত করে তোলে।
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দ্রুত অনুমোদন পাওয়া পর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ওই ব্যক্তিদের ওপর পরীক্ষা চালানো হবে।
মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটির পেডিয়াট্রিক সংক্রামক রোগের অধ্যাপক এবং রয়্যাল চিলড্রেনস হাসপাতালের সংক্রামক রোগ ইউনিটের প্রধান, প্রধান গবেষক নাইজেল কার্টিস বলেছেন, সময় পেরিয়ে যাচ্ছে।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছেন, পরীক্ষায় অংশ নেয়া কিছু কর্মীক মৌসুমী ইনফ্লুয়েঞ্জা ও টিবির টিকা দেয়া হবে এবং অন্যদের শুধু ফ্লুর টিকা দেয়া হবে; যাতে পার্থক্যটা দেখা যায়।
তারা জানান, গবেষকরা পরীক্ষার আগে এবং পরে অংশগ্রহণকারীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করবেন যাতে কে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে আর কে হয়নি তা নির্ধারণ করতে পারেন। এছাড়া অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কোনও লক্ষণ দেখা গেছে কিনা, তারা লিপিবদ্ধ করে রাখবেন। পরীক্ষার মাঝামাঝি সময়ে গবেষকরা টিবি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার ফলাফল পর্যালোচনা করবেন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নেদারল্যান্ডস, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে এ ধরনের বিভিন্ন পরীক্ষা চালানো হচ্ছে।
এ/সি
মন্তব্য করুন