করোনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে ৮০০ গুণ
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গত দুই সপ্তাহে অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে ৮০০ গুণ। করোনা মহামারিকে কেন্দ্র করে দেশটিতে সামাজিক অস্থিরতা, লুট-পাট এবং হাঙ্গামা বাড়তে পারে আশঙ্কা করে মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে অস্ত্র কেনার হিড়িক পড়ে গেছে।
ওকলাহোমার ডগস গানস, তুলসার অ্যামো ও রিলোডিংয়ের মালিক ডেভিড স্টোন জানান, অস্ত্র বিক্রি আগের তুলনায় ৮০০ গুণ। এখনও অস্ত্র ফুরিয়ে যায়নি তবে এমন পরিস্থিতির মুখে দ্রুত পড়তে চলেছি।
তিনি আরও জানান, করোনা পরিস্থিতির অবনতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যেসব ক্রেতা তড়িঘড়ি অস্ত্র কিনতে ছুটে আসছেন তারা সবাই জীবনের প্রথম অস্ত্র কিনছেন। আর হাতের কাছে যে অস্ত্র পাচ্ছে তাই তারা কিনে নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অস্ত্র দোকানের মালিক রাতারাতি চাহিদা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি অনুভব করছেন। করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেবে এবং যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সামাজিক অস্থিরতা বাড়বে। সে সময়ে আত্মরক্ষার তাগিদে অনেকেই অস্ত্র কিনতে ছুটে আসছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মারাত্মক প্রকোপ পড়েছে যেসব অঙ্গরাজ্যে ওয়াশিংটন সেগুলোর অন্যতম। এ অঙ্গরাজ্যের লেনউড গানের মালিক টিফ্যানি টিসডেল বলেন, তার দোকানের অস্ত্র বিক্রি অনেক বেড়েছে। ক্রেতারা দোকান খোলার এক ঘণ্টা আগে থেকেই অস্ত্র কেনার জন্য লাইনে দাঁড়াচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, ব্যস্ত দিনে তারা গড়ে ২০ থেকে ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করতেন কিন্তু এখন ১৫০টি পর্যন্ত অস্ত্র বিক্রি হচ্ছে। শটগান, হ্যান্ডগান কিনছেন অনেকেই আর অনেকেই কিনছেন আধা স্বয়ংক্রিয় এআর১৫। সপ্তাহে সাতদিনই দোকান খোলা রাখছেন বলেও জানান তিনি।
তার ক্রেতাদের মধ্যে অনেকেই প্রথম অস্ত্র কিনছে। তাই তাদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে হচ্ছে। এছাড়া অস্ত্র কি করে ব্যবহার করতে হয় তাও দ্রুত শিখিয়ে দিতে হচ্ছে। তরুণ থেকে শুরু করে মধ্যবয়সী নারী-পুরুষসহ সবধরনের মানুষই অস্ত্র কিনছে উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, এর মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয়, ভারতীয়, হিসপানিক সব জাতিগত সংখ্যালঘুর মানুষজনও আছেন।
ক্যালিফোর্নিয়া, নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন, আলাবামা ও ওহাইওসহ পুরো যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্রের বিক্রির হার বাড়ছে। এ বিষয়ে এভরিটাউন ফর গান সেফটির সভাপতি জন ফেইনব্ল্যাট বলেন, কোভিড-১৯ এর প্রকোপের মুখে অস্ত্র আমেরিকাকে কোনো নিরাপত্তা দেবে না।
এ/পি
মন্তব্য করুন