করোনার ফলে কোথায় কী হচ্ছে?
করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বে অভূতপূর্ব সংকট সৃষ্টি করছে৷ ফলে মানুষের জীবনযাত্রাও বদলে যাচ্ছে। প্রকৃতিও অনেক ক্ষেত্রে ভিন্ন আচরণ করছে। এমনই কিছু দৃষ্টান্তের দিকে নজর দেয়া যাক।
গোলাপের করুণ দশা
গোলাপফুল আবেগ ও বন্ধুত্বের প্রতীক। কিন্তু কেনিয়ার ‘ব্লিস ফ্লোরা’ ফার্মের সাদা গোলাপ বিক্রির আগেই জঞ্জালের স্তূপে চলে যেতে পারে। কারণ, করোনা সংকটের ফলে ইউরোপের বাজার ধসে পড়েছে। সেখানে ফুল পাঠানোর কাজও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। শুধু এই একটি ফার্ম থেকেই প্রতিদিন প্রায় এক লাখ ২০ হাজার ফুল রপ্তানি করা হয়।
অতিথি ছাড়াই বিয়ে
আগামী কয়েক সপ্তাহে যারা বিয়ের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছিলেন, দুঃখজনক হলেও তারা বড় আকারের অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারবেন না। জার্মানির এক হবু দম্পতিও হাল ছেড়ে দিয়ে সপ্তাহান্তে রেজিস্ট্রি সেরে নিয়েছেন। সঙ্গে কেউই ছিল না বললেই চলে। কারণ, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রকাশ্যে দুইয়ের বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ।
উৎসব ছাড়াই নববর্ষ
ইরানে ‘নওরোজ’ বা পারস্যদেশীয় নববর্ষ উপলক্ষে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব মিলিত হন। বসন্ত ঋতুকে স্বাগত জানাতে রাজপথেও উৎসব পালিত হয়। কিন্তু করোনা সংকটের কারণে দেশের অনেক মানুষ বাসার মধ্যে পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গেই নববর্ষ উৎসব পালন করছেন। কেউ একজন তেহরানের মেলাত পার্কে বসন্তের ছবি তুলেছেন।
বসন্তের ফুল
জার্মানিতে বসন্তের ছোঁয়া লেগেছে। দেশের প্রায় সব প্রান্তেই চেরি ফুল বসন্তের বার্তা বয়ে আনছে। যেমন এই বাগানে গোলাপি ও সাদা রং ছেয়ে গেছে। সেখানে গেলে জাপানের এই ফুলের সুগন্ধও উপভোগ করা সম্ভব।
বাসায় থাকুন!
জার্মানিতে স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন আপাতত বন্ধ রয়েছে। সীমান্তও কার্যত বন্ধ। করোনা ভাইরাসের কারণে নাগরিকদের বাধ্য হয়ে অনেক বাধানিষেধ মেনে চলতে হচ্ছে। সংক্রমণের গতি কমাতে সরকার, প্রশাসন ও বিশেষজ্ঞরা সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে যতটা সম্ভব বাসায় থাকার আবেদন জানাচ্ছে।
করোনার বিরুদ্ধে সংগীত
ইতালির এই নারী বাসনের ঢাকনা নিয়ে পাড়ার বারান্দা কনসার্টে অংশ নিয়েছেন। গোটা দেশে এভাবে মানুষ বারান্দা বা জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ভয়ভীতি, একাকীত্ব ও একঘেয়েমি কাটানোর চেষ্টা করছেন। দৈনন্দিন কেনাকাটার মতো অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হবার উপায় নেই।
করোনা সত্ত্বেও রং খেলা
ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশে হোলি উৎসব পালিত হয়েছে। এভাবে অশুভ শক্তির বিনাশের মাধ্যমে বসন্তের সূচনাকেও স্বাগত জানানো হয়। তবে এ বছর করোনাভাইরাসকে ঘিরে আতঙ্কের কারণে অনেকেই রং নিয়ে খেলেননি। তবে বিচ্ছিন্নভাবে অবশ্যই রংয়ের উৎসবে মেতে উঠেছে।
হাসপাতালে রঙের ছোঁয়া
প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী চীনের উহান শহরে অস্থায়ী হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা পদ অনুযায়ী ভিন্ন রংয়ের ইউনিফর্ম পরে কাজ করছেন। আপাতত চীনের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বিশেষজ্ঞদের মতে, বিপদ এখনো পুরোপুরি কেটে যায়নি।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
এসএস
মন্তব্য করুন