যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৭ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিউইয়র্কের কুইন্স হাসপাতালে সোমবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া বাংলাদেশির সংখ্যা দাঁড়ালো তিনে। এর আগে গত সপ্তাহে দুইজন বাংলাদেশি পুরুষ করোনায় মারা যান। মারা যাওয়া ওই নারীর তিন সন্তান রয়েছে। মাত্র চার বছর আগে নিউইয়র্কে আসেন মৃত নারী ও তার পরিবার।
এদিকে সোমবার লকডাউনের প্রথম দিনটি ঘরে অবস্থান করেই কাটান নিউইয়র্কবাসী। করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত মানুষজন ঘর থেকে বের হননি বললেই চলে। প্রধান সড়কগুলো ছিল একেবারেই ফাঁকা। তবে দিনব্যাপী পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
নিউইয়র্ক রাজ্যে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বিশ হাজারেরও বেশি, যা পুরো যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার অর্ধেক। চিকিৎসা সামগ্রীর অপ্রতুলতা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন সিটি মেয়র ডি ব্লাসিও। তিনি বলেছেন, আমাদের যা আছে তা দিয়ে আর ১০ দিন চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যেতে পারবো। আমরা যদি আরও বেশি ভেন্টলেটর না পাই তাহলে মানুষ মরতে শুরু করবে।
অন্যদিকে মিশিগানে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৭৯১ জন। রাজ্যের স্বাস্থ্য ও মানবসেবা অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। মঙ্গলবার আক্রান্ত ও মৃতের বেশিরভাগ ঘটনা ঘটেছে ডেট্রয়েটে। রাজ্যজুড়ে একদিনে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের দিন সোমবার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী মিশিগান জুড়ে এক হাজার ৩২৮ জন আক্রান্তের কথা জানা গিয়েছিল। মৃত্যু ছিল ১৫ জনের। আগের চারদিনে মিশিগানে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২৫১ জন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। কিন্তু মঙ্গলবার সেই সংখ্যা ৪৬৩ জনে দাঁড়ায়।
মিশিগানের গভর্নর বলেন, আমরা এই পরিস্থিতিতেই এগিয়ে চলেছি। সুতরাং এই ভাইরাসের বিস্তার বন্ধ করা আমাদের কমিউনিটিকে সুরক্ষিত করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম। সোমবার হুইটমার বলেছেন, এই বিধিনিষেধগুলো ভাইরাসের বিস্তারকে প্রভাবিত করার আগে 'কিছুটা সময়' নেবে। রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রসমূহের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত জাতীয় পর্যায়ে ৪৪ হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে সাড়ে ৫ শতাধিক।
এ/পি
মন্তব্য করুন