মিশিগানে 'ঘরে থাকার' নির্দেশ জারি
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান রাজ্যের বাসিন্দাদের ‘ঘরে থাকার’ নির্দেশনা জারি করেছেন সেখানকার গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার। সোমবার তিনি 'বাড়িতে থাকুন, নিরাপদে থাকুন' স্লোগানে এ নির্দেশনা জারি করেন। মঙ্গলবার ১২টা এক মিনিট থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হবে। নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গভর্নর।
স্কুলও ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারবে কেবল পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কাজ এবং মুদি ও ওষুধের কেনাবেচার জন্য।
এই নির্দেশনা এমন সময় এলো যখন এক লাফে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ বেড়ে ১৩২৮ জনে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. জোনেইগ খালদুন এই তথ্য জানিয়েছেন।
মিশিগানের গভর্নর বলেন, আমাদের লক্ষ্য খুবই সাধারণ 'বাড়িতে থাকুন, নিরাপদ থাকুন, জীবন বাঁচান।' এটা সাময়িক এই হস্তক্ষেপ করছি এজন্য যে আমরা হাসপাতালে সক্ষমতা বাড়াতে সময় পাবো। আমরা করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার ওষুধ আরও উন্নত করতে পারি। এর ফলে হাসপাতালে ভর্তির হার কমবে এবং মৃত্যুর হারও হ্রাস পাবে।
গভর্নর জানান, এটা লক্ষ্য করা গেছে যে, যদি আমেরিকানরা ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকেন, একে অপরের থেকে ছয় ফুট দূরত্বে থাকেন তাহলে এই মহামারি সহজেই দমন করা সম্ভব। এটা কেবল আমাদের ওপরই নির্ভর করে।
হুইটমার বলেন, বাড়িতে না থাকলে বর্তমান পরিস্থিতি এই ধারণা দেয় যে রাজ্যের এক কোটি জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ আক্রান্ত হতে পারে।
মিশিগানের গভর্নর বলেন, পেছনের দিকে তাকালে দেখা যাবে আমরা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই নিয়েছি; ফেডারেল যে সহায়তা রাজ্যে এসেছে তা খুবই অপর্যাপ্ত ও হতাশাজনক। একটা হাসপাতালে হয়তো একটা শিফটের কাজ চালানো যাবে এই সহায়তা দিয়ে।
লক ডাউন ১৩ এপ্রিলের পর বাড়ানো হবে কিনা সেটি নির্ভর করছে আক্রান্তের সংখ্যা, পরীক্ষার পরিমাণ, হাসপাতালের সক্ষমতা ও আইসোলেশনের ওপর।
হুইটমার জানান, মুদি দোকান, রেস্তোরাঁ, ফার্মেসি ও গ্যাস স্টেশন খোলা থাকবে। আতঙ্কিত হবেন না। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা না রাখলে জরিমানাসহ বন্ধ করে দেয়া হবে।
প্রয়োজনীয় কোনটি সেটি নির্ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে গভর্নর বলেছেন, আইন কেউ ভঙ্গ করার চেষ্টা করবেন না। স্পর্শকাতর অবকাঠামোর শ্রমিকদের কাজের অনুমতি দেয়া হবে। যেমন- স্বাস্থ্য বিষয়ক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জননিরাপত্তা, খাবার, কৃষি, জ্বালানি, পানি, ময়লা পানি, পরিবহন, যোগাযোগ, কমিউনিটিভিত্তিক সরকারি অবকাঠামো, মারাত্মক সব পদার্থ, আর্থিক সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান, রাসায়নিক সরবরাহ এবং প্রতিরক্ষা শিল্প ঘাঁটির জিনিসপত্র আনা-নেয়া নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। এছাড়া শিশুদের যত্ন, ইনস্যুরেন্স শিল্পের কর্মী এবং স্পর্শকাতর শ্রমিক ইউনিয়নের কাজে জড়িতরাও এর বাইরে থাকবে।
এ/পি
মন্তব্য করুন