করোনা ছড়ানোয় হাঁটু গেড়ে ক্ষমা চাইলেন দক্ষিণ কোরিয়ার ধর্মীয় নেতা
দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পেছনে যে ধর্মীয় গোষ্ঠীকে দায়ী করা হয়েছে, সেটির প্রধান ক্ষমা চেয়েছেন। সোমবার ওই ধর্মীয় গোষ্ঠী শিনচিওনজি চার্চের প্রধান লি মান-হি জনসম্মুখে হাঁটু গেড়ে ও মাথা নুইয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল জানিয়েছে, গ্যাপিইয়ং শহরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুই হাঁটু গেড়ে, মাথা মাটিতে নুইয়ে সরকারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ৮৮ বছর বয়সী মান-হি।
প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করতে ব্যর্থতার দায়ে মান-হির বিরুদ্ধে নরহত্যার অভিযোগ গঠন করেছে সিউলের কর্মকর্তারা। এমন পরিস্থিতিতে মান-হি বলেন, আমাদের সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আমি আন্তরিক ক্ষমা প্রার্থনা করছি। তিনি বলেন, অনেক মানুষ সংক্রমিত হয়েছে। যদিও এটি ইচ্ছাকৃতভাবে হয়নি।
স্বঘোষিত এই ধর্মীয় নেতা বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও কোনোভাবেই এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের লাগাম টানতে সক্ষম হইনি। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর জন্য সরকার যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, আমি সেজন্য অনেক কৃতজ্ঞ। আমি সরকারের কাছে ক্ষমাও চাই। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, সম্প্রদায়ের সদস্যরা সরকারের ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টায় জোরালো সহযোগিতা করেছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। আমাদের মানবিক এবং অন্যান্য সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের অধিকাংশই শিনচিওনজি চার্চের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এমন পরিস্থিতিতে এই গোষ্ঠীর প্রধান মান-হিসহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে নরহত্যা, ক্ষতিসাধন করা এবং সংক্রামক রোগ ও নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গের অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে ৯৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩১৯৮ জনের। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে অন্তত ৭৬টি দেশে।
এ
মন্তব্য করুন