জমি বা ব্যাংকের নথি নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়: গুয়াহাটি হাইকোর্ট
জমির কাগজ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট বা প্যান কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের গুয়াহাটি হাইকোর্ট। আসামের এক নারীকে ট্রাইব্যুনাল বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করায় হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
জাবেদা বেগম নামের ওই নারীর নথি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ তার দেয়া নথির সঙ্গে বাবা-মায়ের সম্পর্কের কোনও প্রমাণ মেলেনি। জাবেদা বেগম তার ব্যাংকের কাগজ, জমির দলিল ও প্যান কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে আদালতে দাখিল করেছিলেন। কিন্তু এর কোনোটিই নাগরিকত্বের প্রমাণ নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন গুয়াহাটি হাইকোর্ট।
জাবেদা বলেন, হাইকোর্টে যে ১৪টি কাগজ জমা দেন তার মধ্যে অন্যতম ছিল তাদের গ্রামের প্রধানের লেখা প্রশংসাপত্র, যেখানে তার বাবা ও স্বামীকে ওই গ্রামের বাসিন্দা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ট্রাইব্যুনালের মতোই হাইকোর্টেরও বক্তব্য জাবেদা তার বাবা-মায়ের কোনও নথি দিতে সক্ষম হননি।
সাম্প্রতিক নির্দেশে গুয়াহাটি হাইকোর্টের দুই বিচারপতি মনোজিৎ ভুঁইয়া ও পার্থজ্যোতি সাইকিয়া ২০১৬ সালের এক রায়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, তখন আদালত প্যান কার্ড ও ব্যাংকের নথিকে নাকচ করে দিয়েছিল। পাশাপাশি আদালত এও জানান, জমির রাজস্ব দানের রসিদ কোনও ব্যক্তির নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যবহার করা যাবে না।
তবে নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে প্রথমে ট্রাইবুনাল, পরে হাইকোর্ট এবং তারও পরে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা যাবে। সব আইনি সাহায্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন। আসামের এনআরসি কর্তৃপক্ষ অবশ্য জমি ও ব্যাংকের কাগজ নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করে। এর আগে হাইকোর্টের ওই একই বেঞ্চ জানিয়েছিল, ভোটার আইডি কার্ডও নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র নয়।
এ
মন্তব্য করুন