• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

চীনে করোনায় মৃত কয়েক হাজার দেহ পোড়ানোর অভিযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:৩৩
China has accused of burning 10,000 bodies in Corona, rtvonline
দ্য এক্সপ্রেস থেকে নেয়া

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের দেহ পুড়িয়ে ফেলছে চীন। গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে অন্তত ১৫২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছে আরও ৬৬ হাজারের বেশি মানুষ।

তবে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ও দ্য সান একটি স্যাটেলাইট ইমেজ তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ওই স্যাটেলাইট ইমেজ অনুযায়ী চীনের উহান এবং চংকিং শহরের ওপর সালফার ডাই অক্সাইডের মাত্রা খুব বেশি ছিল।

যখন কোনো মৃতদেহ পোড়ানো হয় তখন সালফার ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয় এবং তা বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া মেডিকেল বর্জ্য ভস্মীভূত করলেও সালফার ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়। তাই পত্রিকা দুটি তাদের রিপোর্টে প্রশ্ন তুলেছে, এটাই কী চীনের করোনায় মৃতের প্রকৃত সংখ্যার চিত্র।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি ইয়ুন নামে উহানের একজন দাহকর্মী বলেন, তারা মৃতদেহ পোড়াতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। শহরের তিনটি বড় হাসপাতাল ছাড়াও ছোট হাসপাতাল এবং বিভিন্ন বাড়ি থেকে লাশ সংগ্রহ করতে তাদের প্রতিদিন ১০০টি মৃতদেহ বহনকারী ব্যাগের প্রয়োজন পড়ে।

এপোক টাইমসকে ইয়ুন বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি থেকে আমাদের ৯০ ভাগ কর্মী সপ্তাহের সাতদিনই ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে। আমরা বাড়ি যেতে পারিনি। আমাদের আরও লোকবল দরকার। উহানের সব ফিউনারেল হোমের প্রায় সব দাহকর্মী পুরোপুরি ব্যস্ত এবং উহানের সব দাহ চেম্বারে ২৪ ঘণ্টা মৃতদেহ পোড়ানো হচ্ছে।

উইন্ডি ডট কম নামে একটি অনলাইন আবহাওয়া ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, উহানের বাতাসে সালফার ডাই–অক্সাইডের মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ১ হাজার ৩৫০ মাইক্রোগ্রাম পার কিউবিক মিটার ছিল। উচ্চমাত্রায় সালফার ডাই অক্সাইড চংকিং শহরের বাতাসেও ছিল।

যুক্তরাজ্যের কোনও অঞ্চলে বাতাসে ১৫ মিনিট ধরে সালফার ডাই অক্সাইডের মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ৫৩৩ মাইক্রোগ্রাম পার কিউবিক মিটার থাকলে তা উচ্চহার বলে ধরা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, বাতাসে সালফার ডাই অক্সাইডের মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ৫০০ মাইক্রোগ্রাম পার কিউবিক মিটার ১০ মিনিটের বেশি থাকা ঠিক না।

এর ফলে স্যাটেলাইটের ওই ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা বলছেন, উহানের শহরতলীতে অনেক মৃতদেহ পোড়ানো হচ্ছে। মূলত বড় জমায়েত এড়ানোর জন্য অল্পসংখ্যক লোকের উপস্থিতিতে এসব দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এরপরই মূলত এসব খবর চাউর হয়েছে যে, মৃতের সংখ্যা কম দেখাতে মৃতদেহ পুড়িয়ে দিচ্ছে চীন।

যদিও এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে চীনা কর্তৃপক্ষ, করোনাভাইরাসে মৃত ব্যক্তিদের দেহ পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়। এদিকে চীনা ভাষায় সংবাদমাধ্যম ইনিটিয়াম বলছে, তাদের বিশ্বাস চীনা সরকার গোপনে মরদেহ পুড়িয়ে ফেলছে।

উহানের দাহকর্মীদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এমন বিশ্বাসের কথা পোষণ করেছে সংবাদমাধ্যমটি। ওই সাক্ষাৎকারের দাহকর্মীরা ইনিটিয়ামকে জানায়, মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার জন্য সঠিক ভৈরবের রাজকাচারী মাঠে দশদিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু একুশে বইমেলা চলছে। সরাসরি জানাচ্ছেন সহকর্মী মো. আল আমিন শনাক্তকরণ ও অফিসিয়াল রেকর্ড ছাড়াই সরাসরি হাসপাতাল থেকে তাদের কাছে পাঠানো হচ্ছে।

তবে ডয়চে ভেলে নিউজের পূর্ব এশিয়া সংবাদদাতা উইলিয়াম ইয়্যাং বলেছেন, চীন যে তথ্য শেয়ার করছে তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করার মতো যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কারণ ভাইরাসটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা যেমন স্বচ্ছতা দেখিয়েছে, তেমনি বেশ কিছু বিষয় নিয়ে ত্রুটিপূর্ণ ও অসত্য তথ্য দিয়েছে।

এ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্ব শক্তিশালী হয়েছে : শি জিনপিং
চীনের সঙ্গে সরাসরি লেনদেনে যাচ্ছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনের ভেটো
করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
X
Fresh