করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় সফলতার দাবি চীনের
চীনে করোনাভাইরাসের লক্ষণ থাকা সাত মেডিকেল কর্মীকে চিকিৎসা দেয়ার পর প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে যে তাদের লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণ এসেছে। সরকারি মালিকানাধীন বার্তা সংস্থা শিনহুয়ার বরাত দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে। খবর ব্রিটিশ গণমাধ্যম এক্সপ্রেসের।
সিসিটিভি এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, ভালো খবর! ইউনিয়ন মেডিকেল কলেজ হসপিটাল অব টংজি এবং মেডিকেল কলেজ অব হুয়াঝং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’তে সাত মেডিকেল কর্মীর চিকিৎসার পর প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস নিউক্লিক এসিড পরীক্ষায় স্থানান্তরিত হয়েছে। ক্লিনিক্যাল লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
তবে ওই প্রতিষেধকের সাফল্য এখনও নিশ্চিত করেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। প্রায় চার সপ্তাহ আগে চীনে ছড়িয়ে পড়া এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের একটি প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) পরিচালক জু ওয়েনবো সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গবেষকরা ভাইরাসের জন্য দায়ী রোগজীবাণুগুলো শনাক্ত করার চেষ্টা করার জন্য জেনেটিক সিকোয়েন্সিং ব্যবহার করছিলেন।
এদিকে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা শক্তিশালী হচ্ছে এবং সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের মন্ত্রী মা জিয়াওয়ে বলেছেন, ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার সময়কাল এক থেকে ১৪ দিনের মধ্যে হতে পারে, সেই সময়ে সংক্রমণ দেখা দিতে পারে, যা ২০০২ সালে চীনে আঘাত হানা সার্স ভাইরাসের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। তখন সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
অন্যদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত চীনে ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর চীন ছাড়াও বিশ্বের অন্তত ১৬টি দেশে ৪৭ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে চীনের বাইরে এখনও কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
এ/পি
মন্তব্য করুন