• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

হান্টার কিলার ড্রোনের হামলায় নিহত জেনারেল সোলাইমানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ০৫ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:৩৮
General Sulaimani killed in Silent Killer MQ-Nine Reaper drone attack
ছবি সংগৃহীত

বহুবার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু প্রত্যেকবারই প্রাণে বেঁচে গেছেন তিনি। তবে শুক্রবার যখন বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাড়ি দিয়ে বের হচ্ছিলেন তখন মার্কিন ড্রোন বিমানের নিখুঁত হামলায় নিহত হন জেনারেল সোলাইমানি। খবর ডেইলি মেইলের।

হান্টার কিলার হিসেবে পরিচিত ইউএস এমকিউ-নাইন রিপার ড্রোন থেকে লেজার-গাইডেড অস্ত্র দিয়ে জেনারেল সোলাইমানিকে বহনকারী গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় জেনারেল সোলাইমানি ছাড়াও ইরাকি মিলিশিয়া হাশদ আশ-শাবির উপ-প্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিস নিহত হয়।

হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘নির্দেশে’ ওই বিমান হামলা চালানো হয়েছে। হামলার পর আমেরিকার একটি পতাকা দিয়ে টুইট করেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমা মিত্র বা সিনিয়র ডেমোক্র্যাট নেতাদের কাউকে কোনও কিছু না জানিয়ে ওই হামলার নির্দেশ দেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ওই অঞ্চলে থাকা মার্কিনিদের হত্যায় সোলাইমানি ‘সক্রিয়ভাবে পরিকল্পনা’ করছে এমন ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে’ যুক্তরাষ্ট্র এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প হামলার নির্দেশ দেন বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে উভয় দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

সিরিয়া থেকে এক ফ্লাইটে বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান জেনারেল সোলাইমানি। তাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে আসেন হাশদ আশ-শাবির উপ-প্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিস।

দুটি টয়োটা এসইউভি করে বিমানবন্দর থেকে বের হন তারা। একটি গাড়িতে জেনারেল সোলাইমানি ও আল-মুহান্দিস ছিলেন। অপর গাড়িতে তাদের দেহরক্ষীরা ছিল।

তাদের গাড়িবহর বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পর পরই চারটি মিসাইল গাড়ি দুটিতে আঘাত হানে। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একটি বড় ধরনের বিস্ফোরণে গাড়ি দুটি তাৎক্ষণিকভাবে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পরে জেনারেল সোলাইমানি হাতের আংটি দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়।

ঘণ্টায় ২৩০ মাইল গতিতে আঘাত হানে হান্টার কিলার ড্রোন

স্থানীয় মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মুনতাথের আল-হুসেইনি বলেন, জেনারেল সোলাইমানি ও আল-মুহান্দিসকে বহনকারী গাড়িতে দুটি মিসাইল আঘাত করে। দ্বিতীয় গাড়িতে একটি মিসাইল আঘাত করে। কাতারে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড হেডকোয়ার্টার থেকে পাঠানো একটি মনুষ্যবিহীন এমকিউ-নাইন ‘হান্টার-কিলার’ ড্রোন থেকে ওই হামলা চালানো হয়।

২৩০ মাইল গতিতে আঘাত হানা হান্টার কিলার খুব নিখুঁতভাবে হামলা চালাতে এবং বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে থাকা কমান্ডারদের কাছে হামলার ছবি পাঠাতে পারে। ৬৪ মিলিয়ন ডলার মূল্যের রিপার ড্রোনে চারটি লেজার-গাইডেড হেলফায়ার মিসাইল রয়েছে। পাশাপাশি ৩৮ পাউন্ড ওজনের ওয়ারহেড রয়েছে, যা একটি ট্যাংক ধ্বংস করতে সক্ষম। আরও রয়েছে পেভওয়ে বোমা।

অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ড্রোনের চলাফেরা ‘প্রায় নিঃশব্দ’, যার অর্থ হচ্ছে- হামলার শিকার হওয়া ব্যক্তি হামলা সম্পর্কে খুব কম বা একেবারেই কিছু জানতে সক্ষম হন না।

একটি গালফ সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়েছে, হামলায় মডিফাইড হেলফেয়ার আরনাইনএক্স ‘নিনজা’ মিসাইল ব্যবহার করা হয়। হামলার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এই মিসাইলের ওয়োরহেডে ঘূর্ণয়মান ব্লেডও রয়েছে।

এর ফলে বিস্ফোরিত হওয়ার পরিবর্তে মিসাইলে থাকা ছয়টি লম্বা ব্লেড টার্গেটকে আঘাত করে, যা কার্যকরভাবে তাদের লক্ষ্যবস্তুতে কেটে ফেলে। হামলার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বড় ধরনের একটি বিস্ফোরণ হয় এবং গাড়ি দুটি পুড়ে গেছে, যার অর্থ হচ্ছে প্রচণ্ড বিস্ফোরণে সেটি ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। এদিকে পেন্টাগন ওই হামলার ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে ইরানের কর্মকর্তারা বলছেন, হেলিকপ্টার থেকে ওই হামলা চালানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে চেষ্টা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র’
যুক্তরাষ্ট্রে সেতু দুর্ঘটনা : দুই মরদেহ উদ্ধার
নিজের ডেকে আনা পুলিশের গুলিতে প্রাণ গেল বাংলাদেশি তরুণের 
সিরিয়ায় বিমান হামলায় ইরানের কমান্ডারসহ নিহত ১৩
X
Fresh