পশ্চিমবঙ্গে স্কুলে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ
স্কুল চত্বরে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দপ্তর। এর ফলে এখন থেকে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে মোবাইল ফোন আনতে পারবে না। একই সঙ্গে শিক্ষকদের মোবাইল ফোন ব্যবহারেও বেশ কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। ২০২০ সালের নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই নিয়ম চালু হবে।
স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন ব্যবহার নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে। ক্লাস চলাকালে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মোবাইল ফোনে কথা বলা নিয়েও শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, স্কুলে মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছে পড়ুয়ারা। তাই বিষয়টি কড়া হাতেই মোকাবিলা করতে চায় শিক্ষা দপ্তর।
পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমোদন পাওয়ার পরই গত ৯ ডিসেম্বর এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (শিক্ষা) উপসচিব পার্থ কর্মকারের তরফে নোটিশ জারি করা হয়েছে। সরকারি স্কুল, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলসহ পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীনে সব স্কুলেই এই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে।
শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীরা স্কুল চত্বরে মোবাইল ফোন আর ব্যবহার করতে পারবে না। একই সঙ্গে ক্লাসে এবং ল্যাবরেটরিতে মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য শিক্ষকদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ঘন ঘন মোবাইল ফোন ব্যবহার একেবারেই নিষেধ করা হয়েছে। যদি কোনও প্রয়োজনে ক্লাসে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেই হয়, তা হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে শিক্ষকদের।
একই সঙ্গে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের স্কুলে নির্দিষ্টি সময় আসার বিষয়েও নির্দেশিকা জারি করেছে শিক্ষা দপ্তর। সেখানে বলা হয়েছে, সকাল ১০টা ৪০ থেকে ১০টা ৫০ মিনিটের মধ্যে স্কুলের প্রার্থনায় অংশ নিতে হবে সবাই। ১০টা ৫০ মিনিটের পরে কেউ স্কুলে ঢুকলে, তা ‘লেট’ হিসেবেই বিবেচিত হবে। সকাল ১১টা ৫ মিনিটের পরে স্কুলে ঢুকলে তাকে অনুপস্থিত ধরা হবে।
অনেক সময়ই অভিযোগ ওঠে যে, অশিক্ষক কর্মীরা স্কুল শেষ হওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই চলে যায়। সেদিকেও নজর দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিকেল সাড়ে ৪টার আগে স্কুল ছাড়া যাবে না। শিক্ষা দপ্তরের নিয়ম মেনে ক্লাস নেয়ার বিষয়েও সতর্ক করে দেয়া হয়েছে শিক্ষকদের।
এ
মন্তব্য করুন