ইসরায়েলকে শত্রু বিবেচনা করে জর্ডানের যুদ্ধ মহড়া
জর্ডানের সামরিক বাহিনী ইসরায়েলকে শত্রু কল্পনা করে সামরিক মহড়া চালিয়েছে। মহড়ায় জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধ মোকাবিলার কৌশল অনুশীলন করা হয় এ মহড়ায়।
মহড়ায় বাদশাহ আব্দুল্লাহর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ওমর রাজ্জাকসহ আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এবারের মহড়ার নাম দেয়া হয় ‘কারামা’র তলোয়ার’। ১৯৬৮ সালে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন ফাতাহ’র বিরুদ্ধে যে অভিযান পরিচালনা করেছিল দৃশ্যত তার স্মরণে এ নাম দেয়া হয়েছে। কারামা গ্রামের কাছাকাছি সে যুদ্ধে ফাতাহ আন্দোলনের পাশাপাশি জর্ডানও লড়াই করেছিল।
জর্ডানের একটি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে জর্ডানের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে এবং পাল্টাপাল্টি কড়া বিবৃতি চলছে। এ অবস্থায় অদূর ভবিষ্যতে ইসরায়েলের সঙ্গে ঠাণ্ডা লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ ঘোষণা করেন যে, ইসরায়েলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় ২৫ বছর আগে জর্ডানের যে দুটি ভূখণ্ড লিজ দেয়া হয়েছিল তার মেয়াদ শেষ হয়েছে এবং জর্ডান এখন ওই ভূমি ইসরায়েলের কাছে লিজ দেবে না। তবে ইসরায়েল জর্ডানের এ বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে জর্ডানের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে কিন্তু জর্ডানের সাধারণ মানুষ তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাকে ভালো চোখে দেখে না।
এ
মন্তব্য করুন