• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শেখ হাসিনা-মমতা মুখোমুখি আজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২২ নভেম্বর ২০১৯, ১৪:৪৫
মমতা ব্যানার্জি ও শেখ হাসিনা
ফাইল ছবি

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আজ শুক্রবার একান্ত বৈঠকে বসবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শেখ হাসিনার এই সফর। তবে মোদি নিজে থাকতে পারছেন না। এমনকি আগে আসার কথা থাকলেও আসছেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। খবর আনন্দবাজারের।

হাসিনার এ দিনের কলকাতা সফর মূলত ইডেনে ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট ম্যাচ উপলক্ষে। তবে শেখ হাসিনা-মমতার বৈঠক গোলাপি বলে ম্যাচের চেয়ে কম আকর্ষণীয় নয়। কারণ তিস্তা চুক্তিসহ বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক যেসব বিষয় এখনও অমীমাংসিত তার অনেকগুলোই পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত।

মমতা নিজেই গতকাল বৃহস্পতিবার বহরমপুরে সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনবার আমার দেখা হবে। দুপুরে ইডেনে, সন্ধ্যায় তাজ বেঙ্গল হোটেলে, তারপর আবার ইডেনে— সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার বলছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ২০ মিনিটের সৌজন্য সাক্ষাতে তিস্তা চুক্তির বিষয়টি সম্ভবত তুলবেন না শেখ হাসিনা। ওই সূত্রের মতে, তিস্তা নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে ঢাকা। এ বিষয়ে সহমত তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে কয়েক মাস আগে শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময়েও মোদি সরকার আশ্বাস দিয়েছে।

তিস্তা নিয়ে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর যে ভিন্নমত রয়েছে, শেখ হাসিনা সে বিষয়ে ওয়াকিবহাল। মমতা বহু বার জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের ‘স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে’ কোনও চুক্তি তিনি চান না। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। এবারে সেই আন্তরিকতাকে আরও বাড়িয়ে তোলা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য।

গত বছর শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। তখন হালকাভাবে মুখ্যমন্ত্রী তাকে বাংলাদেশের ইলিশ পাঠানোর কথা বলায় হাসিনা বলেছিলেন, আপনি পানি দিন। আমিও ইলিশ পাঠাব।

তবে আপাতত সৌজন্যের আবহ রেখেই দুই নেত্রী কথা বলবেন বলে উভয় পক্ষ জানিয়েছে। তাই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার মতে, তিস্তার মতো স্পর্শকাতর বিষয় শেখ হাসিনা এই সফরে না-ও তুলতে পারেন। মমতাও এ দিন বলেন, আমরা শেখ হাসিনাকে ভালবাসি। বাংলাদেশকে, বাংলার মানুষকে ভালবাসি। ভাষা, সংস্কৃতি, সভ্যতা— আমাদের সবই তো এক।

নিজের কলকাতা সফর নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শুক্রবার তার কলকাতা সফর হবে নিছক ক্রিকেটীয়, রাজনীতির কোনও মারপ্যাঁচ তাতে থাকবে না। ক্রিকেট-অন্ত-প্রাণ শেখ হাসিনার কথায়, ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশের জাতীয় দল টেস্ট খেলবে, এটা বিরাট ব্যাপার। সেই ক্ষণটিতে হাজির থাকার জন্য আমন্ত্রণ পাওয়া মাত্র তিনি হ্যাঁ বলেছেন।

তবে একটি বিষয়ে মমতার কাছে কিছু প্রস্তাব শেখ হাসিনা দিতে পারেন। তা হলো, কলকাতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িগুলো এবং কলকাতায় স্বাধীন বাংলা সরকারের সদর দপ্তর বলে চিহ্নিত বাড়ির সংরক্ষণ।

আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ। তার ছাত্রজীবন যেমন এই কলকাতায় কেটেছে, প্রবাসী সরকারের রাজধানীও ছিল কলকাতার একটি বাড়িতে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চান, বাবার স্মারক ভবনগুলোর সঙ্গে ওই বাড়িটিও সংরক্ষণ করে প্রদর্শনশালা করা হোক। এ বিষয়ে একেবারে মৌখিকভাবে মমতার কাছে শেখ হাসিনা কিছু প্রস্তাব দিতে পারেন।

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জাতীয় পতাকার নকশাকারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
‘মানুষ এখন ডাল-ভাত নয়, মাছ-মাংস নিয়ে চিন্তা করে’
মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী
২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
X
Fresh