• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চীনের এই গ্রামের সবাই কোটিপতি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ০৩ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:৪৯
চীনের হুয়াক্সি গ্রাম
ছবি সংগৃহীত

গ্রাম বললেই ফসলের ক্ষেত, কাঁচা রাস্তা, মাটির বাড়ি— এমন ছবিই ভেসে ওঠে। কিন্তু বিশ্বে এমনও কিছু গ্রাম আছে, যেগুলো অত্যাধুনিক লাইফস্টাইল এবং সব রকম সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে বড় বড় শহরকেও পেছনে ফেলে দেবে।

এমনই এক গ্রাম হুয়াক্সি। এই গ্রামটি চীনের জিয়াংসু প্রদেশে অবস্থিত। এটাকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী গ্রাম বলে দাবি করা হয়। এটি ‘সুপার ভিলেজ’ নামে পরিচিত।

১৯৬১ সালে গড়ে ওঠে গ্রামটি। স্থানীয়দের মতে, ক্ষেত-খামার, কাঁচা বাড়ি, রাস্তা— প্রথম দিকে আর পাঁচটা গ্রামের মতোই ছিল হুয়াক্সি। কিন্তু গ্রামটি আধুনিক রূপ পায় কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সেক্রেটারি উ রেনবাওয়ের অক্লান্ত প্রচেষ্টায়। হুয়াক্সিকে সোশালিস্ট গ্রামের তকমা দিয়েছেন গ্রামবাসীরাই।

দাবি করা হয়, এক সময় যারা চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন, আজ তারাই কোটিপতি। গ্রামের প্রতিটি বাসিন্দার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রয়েছে কমপক্ষে ১০ লাখ ইউয়ান অর্থাৎ প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।

এই গ্রামে সব মিলিয়ে দুই হাজার জনের বাস। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই গ্রামের প্রত্যেক বাসিন্দাকে বিলাসবহুল ঘর, গাড়ি এবং জীবনযাপনের সব রকম স্বাচ্ছন্দ্য, সুবিধা দেয়া হয়। আর এই সুবিধা পাওয়ার জন্য বাসিন্দাদের পকেটের পয়সা খরচ করতে হয় না। তবে এই সব সুবিধা ভোগ করেন শুধু গ্রামের আসল বাসিন্দারাই।

গ্রামটিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি বড় বড় শিল্প। যার শেয়ারহোল্ডার গ্রামবাসীরাই। সংস্থার বার্ষিক লাভের এক-পঞ্চমাংশ দেয়া হয় তাদের। গ্রামটি এতোটাই সমৃদ্ধ যে, এখানে ৭২তলা বহুতল ভবন রয়েছে। আছে শপিং মল এবং অত্যাধুনিক থিম পার্ক। শুধু তাই নয়, চাইলে হেলিকপ্টার পরিসেবাও সহজেই পাওয়া সম্ভব।

---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী নারীর মৃত্যু
---------------------------------------------------------------

গ্রামের প্রতিটি ঘরের আকার এবং নকশা একই রকমের। বাইরে থেকে দেখে মনে হবে হাজারো হোটেল সারি সারি দাঁড়ানো!

নিয়মের দিক থেকে বেশ কড়াকড়ি রয়েছে হুয়াক্সিতে। এখানে সপ্তাহে সাতদিনই কাজ করতে হয় গ্রামবাসীদের। কোনও ছুটি নেই। শুধু তাই নয়, গ্রামে জুয়া, মাদক সব নিষিদ্ধ। গ্রামের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, কেউ যদি একবার এই গ্রাম ছেড়ে চলে যান, তা হলে তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নেয় প্রশাসন।

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চীনের নানজিং ইউনিভার্সিটিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপন
চীনে ঈদ পুনর্মিলনী ও পহেলা বৈশাখ উদযাপন
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তিব্বত
কেন এত সোনা কিনছে চীন!
X
Fresh