ইসরায়েলের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি নেতানিয়াহু
ইসরায়েলের গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত পাঁচ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের পর অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম কান জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বেনি গান্টজ- দুজনই ৩২টি করে আসন পেয়েছেন।
১২০ আসনের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য ৬১ আসন প্রয়োজন। তবে নেতানিয়াহু বা গান্টজ কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে সক্ষম হননি। সেক্ষেত্রে সরকার গঠনে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দল বিশেষ করে ইসরায়েল বেইতেইনু পার্টি খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
আজ বুধবার স্থানীয় সময় সকালে আনুষ্ঠিকভাবে আংশিক ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে ভাবা হচ্ছে। ইসরায়েলের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা নেতা হিসেবে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ রয়েছে নেতানিয়াহুর সামনে।
ডানপন্থী দল লিকুদ পার্টি নেতা নেতানিয়াহু আবারও নির্বাচিত হলে অধিকৃত পশ্চিম তীরের অন্যান্য এলাকা ও ইহুদি বসতি ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে ফিলিস্তিনিরা সতর্ক করে বলেছে, পশ্চিম তীর ও গাজার সমন্বয়ে গঠিত তাদের দেশের রাজধানী পূর্ব জেরুজালেম থাকবে- কিন্তু এর অন্যথা হলে শান্তির আশার মৃত্যু ঘটবে।
এদিকে মধ্যপন্থী ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির নেতা গান্টজ এ ধরনের সংযুক্তির পক্ষে প্রচার চালাননি। যদিও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ব্যাপারে তার অবস্থান অস্পষ্ট। তবে জেরুজালেমকে দুই ভাগ করার বিষয়টি তিনি নাকচ করে দিয়েছেন।
অন্যদিকে ইসরায়েল বেইতেইনু পার্টির নেতা আভিগদোর লিবারম্যান জোর দিয়েই বলেছেন, লিকুদ ও ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির সমন্বয়ে গঠিত সরকারকেই তারা সমর্থন করবে। তবে লিকুদ পার্টির সঙ্গে কোনও জোট গঠন করার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন গান্টজ।
এ
মন্তব্য করুন