সৌদি আরবে হামলার পর বেড়েছে তেলের দাম
সৌদি আরবের দুটি তেল উৎপাদন কেন্দ্রে হামলার পর দেশটির জ্বালানি তেলের উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। আর এ কারণে বিশ্ব তেলের বাজার হঠাৎ করে অস্থির হয়ে উঠেছে।
হামলার পর ওই দুটি তেল উৎপাদন কেন্দ্রে দৈনিক ৫৭ লাখ ব্যারেলের তেল উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। যা দেশটির মোট উৎপাদনের অর্ধেক আর বৈশ্বিক গড় উৎপাদনের ৫ ভাগ।
আর এটির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্ব বাজারে। এরই ধারাবাহিকতা আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) তেলের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশেরও বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কভিত্তিক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট তেলের দাম ১০.৬৮ শতাংশ বাড়ানোয় এর দাম লাফিয়ে ৬০.৭১ ডলারে পৌঁছেছে। এছাড়া লন্ডনভিত্তিক ব্রেন্ট ক্রুড সংস্থায় তেলের দাম ১১.৭৭ শতাংশ বেড়ে ৬৭.৩১ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে তেলের দাম বাড়তে পারে বলে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল এনভেরাস নামের একটি বাজার বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট বারনাদেত্তে জনসন বলেন, সৌদি আরবে যেকোনো ধরনের হামলাই তেলের বাজারকে অস্থিতিশীল করবে, কেননা জ্বালানী তেল উৎপাদনের বড় অংশই তাদের দখলে।
তিনি বলেন, এই দুইটি প্লান্টের উৎপাদন সহসা শুরু না হলে দামে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটতে পারে।
এর আগে শনিবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আরামকো’র দুইটি তেল শোধনাগারে বড় ধরনের ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা।
তবে শনিবারের ওই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করছে রিয়াদ ও ওয়াশিংটন। হুথি বিদ্রোহীরা হামলা চালিয়েছে এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তিনি বলেন, ইয়েমেন থেকে ড্রোন আসার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিশ্বের জ্বালানি তেলের সরবরাহ ব্যবস্থায় এমন হামলা নজিরবিহীন উল্লেখ করে তিনি ইরানের ওপরই দায় চাপিয়েছেন। পাশাপাশি সব দেশকে ইরানের এই হামলার প্রতি নিন্দা জানানোর আহবান জানান।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগে ব্যর্থ হয়ে পম্পেও ইরানের সঙ্গে ‘সর্বোচ্চ প্রতারণা’ শুরু করেছেন।
এ
মন্তব্য করুন