• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

বরিস জনসনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ব্রিটেনজুড়ে বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:১৩
বরিস জনসন, পার্লামেন্ট স্থগিত, ব্রেক্সিট
ছবি: সংগৃহীত

পার্লামেন্ট স্থগিত করার বরিস জনসনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ব্রিটেনজুড়ে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ম্যানচেস্টার, লিডস, ইয়র্ক ও বেলফাস্টের রাস্তা নেমে আসেন হাজার হাজার মানুষ।

বিক্ষোভের কারণে সেন্ট্রাল লন্ডনে অনেক জায়গা স্থবির হয়ে যায়। এসময় বিক্ষোভকারী, ‘বরিস জনসন, ধিক্কার জানাই।’ তবে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সমর্থনে মিছিল করে ওয়েস্টমিনিস্টারে জড়ো হয় ছোট একটি গ্রুপ।

বরিস জনসন বুধবার পার্লামেন্ট স্থগিত করার ঘোষণা দেয়ার পর এমপি ও বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। যদি বরিস জনসন তার পরিকল্পনায় সফল হন, তাহলে ২৩ কর্মদিবস বন্ধ থাকবে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট।

তবে ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট ডেডলাইনের আগে বরিস জনসনের বিতর্কিত এই সিদ্ধান্তের কারণেই মূলত সমালোচকদের তোপের মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে বরিস জনসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এডিনবার্গ, বেলফাস্ট, ক্যামব্রিজ, এক্সটার, নটিংহ্যাম, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার ও বার্মিংহ্যামসহ যুক্তরাজ্যের ৩০টি টাউন ও শহরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

লন্ডনে হোয়াইটহল এবং ওয়েস্ট এন্ডে ট্র্যাফিক আটকে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ট্রাফালগার স্কয়ারে অবস্থান কর্মসূচিও করেন বিক্ষোভকারীরা। পরে তারা ‘কার গণতন্ত্র? আমাদের গণতন্ত্র’ চিৎকার করতে করতে বাকিংহ্যাম প্যালেস অভিমুখে যাত্রা করে।

মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, তারা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু এর চেয়ে বেশি কিছু জানায়নি পুলিশ। তবে গ্রিন পার্টি জানিয়েছে, আটককৃতদের মধ্যে লন্ডন অ্যাসেম্বলির সদস্য ক্যারোলিন রাসেলও রয়েছেন।

গ্রিন পার্টির কো-লিডার সিয়ান বেরি পরে এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানোয় তিনি ক্যারোলিনের জন্য গর্বিত।’

এদিকে লন্ডনে ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে বিক্ষোভের অন্যতম আয়োজক লরা পার্কার বলেন, আমাদের গণতন্ত্রকে কুক্ষিগত করার সুযোগ একজন অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে দেবো না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের পদ্ধতিকে ধ্বংসের চেষ্টা করছেন। কিন্তু আমরা জানি আপনি (বরিস জনসন) কোথায় থাকেন।

আরও পড়ুন

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh