রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন: যুক্তরাষ্ট্র
রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনে সবার প্রচেষ্টা দরকার বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ন্যায় প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় এবং রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরিতে আমরা আবারও সবার সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছি।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই বছর আগে উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার প্রতিশোধ নিতে বার্মার (মিয়ানমার) নিরাপত্তা বাহিনী লাখ লাখ নিরস্ত্র নারী, পুরুষ ও শিশুর ওপর নির্মম হামলা চালায়। রোহিঙ্গা গ্রামবাসীদের ওপর বার্মিজ সেনাবাহিনীর ভয়াবহ বর্বরতার কারণে সাত লাখ ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। বার্মিজ সেনাবাহিনীর এ ধরনের আচরণ জাতিগত শুদ্ধি অভিযান।
কেবল রাখাইনই নয় বার্মার অন্যান্য স্থানে গত ৭০ বছর ধরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। জবাবদিহিতা ও বেসামরিক সরকারের নজরদারির অভাবে আজও রাখাইন, কাচিন ও শান রাজ্য এবং বার্মার অন্যান্য জায়গায় নিপীড়ন চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা, বাধাহীন মানবিক সহায়তার অনুমতি এবং শান্তির জন্য রাজনৈতিক আলোচনায় যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
ওই বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মরগ্যান ওর্টাগাস বলেন, এসব শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ায় আমরা বাংলাদেশ সরকারের উদারতার প্রশংসা করি। রোহিঙ্গা সঙ্কটে মানবিক সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালের আগস্টে ওই সহিংসতা শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৫৪২ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই মানবিক সঙ্কট নিরসনে অন্য সবাইকে যোগ দিতে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।
---------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থ সহযোগিতা কমে যাওয়ায় সংকট বাড়ছে
---------------------------------------------------------------------
তিনি আরও বলেন, নিপীড়নের শিকার ভুক্তভোগী ১০ লাখের বেশি শরণার্থীর প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই। একটি শক্তিশালী, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও উন্নয়নশীল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বার্মার প্রচেষ্টার জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি। একইসঙ্গে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি করতে আমরা সবার সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রোহিঙ্গাদের আপত্তির মুখে দুই দফায় সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
এ/পি
মন্তব্য করুন