স্বাধীনতার শতবর্ষপূর্তির আগেই কাশ্মীর হারাবে ভারত: রাজ্যসভার সদস্য
ভারত স্বাধীনতার শতবর্ষপূর্তির আগেই কাশ্মীর হারাবে বলে মন্তব্য করলেন দেশটির রাজ্যসভার সদস্য এবং মারুমালার্চি দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কাঝাগামের (এমডিএমকে) প্রধান ভাইকো।
তামিলনাড়ু ভিত্তিক রাজনৈতিক দলটির প্রধান সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই)।
ভাইকো বলেন, ভারত যখন স্বাধীনতার শতবর্ষপূর্তি উদযাপন করবে, তখন কাশ্মীর ভারতের অংশ থাকবে না। তারা (ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপি) কাশ্মীরকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, আমি এর আগেও কাশ্মীর সম্পর্কে আমার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছি। আমি মনে করি কাশ্মীর সমস্যার ৭০ শতাংশ দায় বিজেপির। আর বাকি ৩০ শতাংশ দায় কংগ্রেসের।
এমডিএমকে প্রধান জানান, তার দল সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কাঝাগামের (ডিএমকে) প্রতিষ্ঠাতা সি এন আন্নাদুরাইয়ের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপীর কর্মসূচি আয়োজন করবে।
তিনি বলেন, আমরা আগামী মাসে আন্নাদুরাইয়ের জন্মদিন উদযাপন করবো। এর আগে আমরা একটি জনসভা করার পরিকল্পনা করছি। আপাতত আমাদের চিন্তাভাবনায় এই জনসভা।
---------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার ঐতিহাসিক দায়িত্ব যুক্তরাজ্যের: ব্রিটিশ এমপি
---------------------------------------------------------------------
ভারত স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট। অর্থাৎ ভারতের স্বাধীনতার শতবর্ষপূর্তি হবে ২০৪৭ সালের ১৫ আগস্ট। ভাইকোর মতে, এর আগেই ভারত থেকে আলাদা হয়ে যাবে কাশ্মীর।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির নির্দেশ জারির মাধ্যমে ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ এবং কাশ্মীর ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামের দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে।
ভারতের এসব পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে ৭ আগস্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি (এনএসসি) পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেয়।
সিদ্ধান্তগুলো হলো- ভারতের সঙ্গে সব দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য স্থগিত করা, দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করা; পাকিস্তান-ভারতের দ্বিপক্ষীয় কর্মসূচিগুলো পর্যালোচনা করা; বিষয়টি জাতিসংঘে নিয়ে যাওয়া এবং আগামী ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে কাশ্মীরিদের প্রতি সংহতি জানানো এবং ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে কালো দিবস হিসেবে পালন করা।
এছাড়া পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রদূতরা আর নয়াদিল্লিতে থাকবেন না এবং তাদের রাষ্ট্রদূতদেরকে ফেরত পাঠানো হবে।
কে/এসএস
মন্তব্য করুন