বিজেপির সেনাবাহিনী ব্যবহারে কাশ্মীরিদের স্বাধীনতার আন্দোলন বেগবান হবে: ইমরান
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সরকার কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী ব্যবহার করলে তাদের স্বাধীনতার আন্দোলন আরও বেগবান হবে।
বৃহস্পতিবার তিনি তার টুইটারে এক পোস্টে এ কথা বলেন।
ইমরান খান বলেন, ভারত অধিকৃত কাশ্মীর থেকে কারফিউ তুলে নেয়ার পর এখানকার নির্যাতিত কাশ্মীরিদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হয়, তা দেখার অপেক্ষায় আছে সারা বিশ্ব।
তিনি বলেন, বিজেপি সরকার কি ভাবছে কাশ্মীরীদের বিরুদ্ধে বৃহত্তর সেনাবাহিনী ব্যবহার করে তাদের স্বাধীনতার আন্দোলন বন্ধ করবে? এটি আরও বেগবান হবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরেকটি টুইটার পোস্টে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কাশ্মীরিদের ওপর গণহত্যার সাক্ষী হওয়া কি উচিত হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিজেপি সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণ দেখবো নাকি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এটি বন্ধ করার নৈতিক সাহস আছে?
এদিকে বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ সন্ত্রাসের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ একসঙ্গে পাকিস্তানের অসৎ উদ্দেশ্যকে পরাজিত করবে।
গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির নির্দেশ জারির মাধ্যমে সোমবার নরেন্দ্র মোদির সরকার ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল ঘোষণা করে।
এছাড়া অঞ্চলটিকে ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামের দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। দেশটির লোকসভায় ৬ আগস্ট এ বিষয়ে একটি বিল পাস হয়।
ভারতের এসব পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে ৭ আগস্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি (এনএসসি) পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেয়।
সিদ্ধান্তগুলো হলো- ভারতের সঙ্গে সব দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য স্থগিত করা, দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করা; পাকিস্তান-ভারতের দ্বিপক্ষীয় কর্মসূচিগুলো পর্যালোচনা করা; বিষয়টি জাতিসংঘে নিয়ে যাওয়া এবং আগামী ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে কাশ্মীরিদের প্রতি সংহতি জানানো এবং ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে কালো দিবস হিসেবে পালন করা।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রদূতরা আর নয়াদিল্লিতে থাকবেন না এবং তাদের রাষ্ট্রদূতদেরকে ফেরত পাঠানো হবে।
কে/ওয়াই
মন্তব্য করুন