• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ভারতে ডিমের গায়ে এক্সপায়ারি ডেট!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৪ আগস্ট ২০১৯, ১৯:৩৬
ভারত, ডিম, এক্সপায়ারি ডেট
ছবি: সংগৃহীত

সাধারণত ফ্রিজ করা বিভিন্ন খাবার বা ওষুধের গায়ে এক্সপায়ারি ডেট লেখা থাকে। কিন্তু তাই বলে ডিমের গায়েও লেখা থাকবে এক্সপায়ারি ডেট। অবাক করার মতো হলেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়ের কাশীপুর বাজারের এক মুদি দোকানকার এমন কাজ করে হইচই ফেলে দিয়েছেন।

বাজারের মুদি দোকানি আব্দুল জলিল মোল্লা ‘বেস্ট বিফোর’ লেবেল লাগিয়ে ডিম বিক্রি করছেন। ভাঙড় দুই নম্বর ব্লকের বিডিও কৌশিক কুমার মাইতি বলেন, ডিমের গায়ে তারিখের কথা এই প্রথম শুনছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

ভাঙড়ের চড়কপোতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবেশ পাল দুপুরের খাবারের জন্য কাশীপুর বাজার থেকে ডিম কিনেছিলেন। সেই ডিমের গায়ে তারিখ দেখে অবাক হয়ে যান তিনি। প্রধান শিক্ষকের মুখ থেকেই এক্সপায়ারি ডেটের কথা ছড়িয়ে পড়ে।

ভাগাড়ের মাংস বা ফর্মালিন মেশানো মাছের মতো অভিযোগ ওঠেনি ডিমের বিরুদ্ধে। একবার অবশ্য প্লাস্টিকের ডিমের কথা বাজারে ছড়িয়েছিল। পরে অবশ্য তা গুজব বলেই জানা যায়। কিন্তু ডিম কতদিন ভালো থাকবে তা নিয়ে ক্রেতারা কিছুই বুঝতে পারেন না। বাজার থেকে যে ডিমটি কিনছেন, তা কতদিন আগে পাড়া জানার কোনও উপায়ও নেই। অনেক ক্ষেত্রেই বাড়িতে ফিরে রান্নার সময় দেখা যায় দু-একটা ডিম পচা বেরোচ্ছে।

---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: জাপানে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা নেই
---------------------------------------------------------------

ভাঙড়ের বাসিন্দা তৃপ্তি মণ্ডলের গলাতেও একই সুর। তৃপ্তি বললেন, স্বামী ডজনে ডিম কিনে আনেন। প্রায়ই একটা-দুটো ডিম পচা বের হয়। ডিমের গায়ে স্ট্যাম্প লাগানো শুনে তৃপ্তি জানালেন, তিনিও এবার জালিলের দোকান থেকেই ডিম কিনবেন।

গ্রামের বাজারে এক্সপায়ারি ডেট লেখা ডিম বিক্রির বিষয়টি মাথায় এলো কী করে? এমন প্রশ্নের জবাবে জলিল বলেন, আমি শিয়ালদহ পাইকারি বাজার থেকে ডিম কিনি। এটা ওড়িশার ডিম। তারাই আমাকে স্ট্যাম্প দেয়া ডিম দিলো। এখন দেখছি স্ট্যাম্প দেয়া ডিমের ভীষণই চাহিদা।

এদিকে ডিমের গায়ে ডেট থাকলেও তা কতটা বিশ্বাসযোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে? ডিম বিক্রেতারা জানান, ডিম পাড়ার পর মোটামুটি ২০ পর্যন্ত তা ঠিক থাকে। প্যাকেটে ভরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রাখলে তিন মাসের মতো ঠিক থাকতে পারে।

তবে ডিম বিক্রেতারা যাই বলুন না কেন চড়কপোতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবেশ পাল ডিমের গায়ে এক্সপায়ারি ডেটের ঘটনায় খুব খুশি। তিনি বলেন, দুপুরের খাবারের জন্য প্রতিদিন কয়েক পেটি ডিম কিনতে হয়। ডেট দেয়া থাকলে ঠকার আশঙ্কা কম। একই বক্তব্য কাশীপুরের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী পাপিয়া চক্রবর্তীর। ভাঙড়ে খাদ্য দপ্তরের এক ফুড ইন্সপেক্টর বলেন, ডিমের গায়ে ডেট অভিনব। তবে তা কতটা বিশ্বাসযোগ্য, প্রশ্ন থাকে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মোদির বিরুদ্ধে ইসিতে ২০ হাজার নাগরিকের চিঠি
পাকিস্তানে নয়, ‘হাইব্রিড’ মডেলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে চায় ভারত
সমুদ্রের বেআইনি কার্যকলাপ রুখতে যৌথ উদ্যোগ ভারত ও ওমানের
বাতাসেই ভেঙে পড়ল সেতু
X
Fresh