• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

হিন্দু তীর্থযাত্রীদের কাশ্মীর ছাড়ার নির্দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৩ আগস্ট ২০১৯, ০৪:২৯
জম্মু ও কাশ্মীর, অমরনাথ, তীর্থযাত্রী
ছবি: সংগৃহীত

নিরাপত্তার কারণে অমরনাথ যাত্রীদের অবিলম্বে উপত্যকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর সরকার। রাজ্য ছাড়তে বলা হয়েছে পর্যটকদেরও। পাকিস্তানের সমর্থনপুষ্ট জঙ্গিরা কাশ্মীরে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছে, এমন গোয়েন্দো রিপোর্টের পর রাজ্য সরকার এ নির্দেশনা জারি করলো।

জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানায়, গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছে জঙ্গিরা। মূলত অমরনাথ যাত্রীরাই তাদের নিশানায় রয়েছেন। উপত্যকায় এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে অমরনাথ যাত্রী এবং পর্যটকদের নিরাপত্তাকেই প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। তাই যত শীঘ্র সম্ভব ছুটি কাটছাঁট করে নিরাপদে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

এদিন সকালে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং রাজ্য পুলিশ এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জঙ্গি হামলার সম্ভাবনার কথা জানায়। সেখানে বলা হয়, অমরনাথ যাওয়ার পথ থেকে থেকে প্রচুর বোমা, একটি ল্যান্ডমাইন এবং একটি টেলিস্কোপিক স্নাইপার রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, তীর্থযাত্রীদের সফর বানচাল করতে পাকিস্তানের সমর্থনপুষ্ট জঙ্গিরা হামলার পরিকল্পনা করছে। এই ষড়যন্ত্রে সরাসরিভাবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী যুক্ত আছে বলেও জানায় তারা।

---------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : আইএস জঙ্গিদের ইউরোপে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিলেন ট্রাম্প
---------------------------------------------------------------------

সেনাবাহিনী ও পুলিশের ওই যৌথ সংবাদ সম্মেলনের কয়েক ঘণ্টা পরই রাজ্য সরকার তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের জন্য এ নির্দেশনা জারি করে। এদিকে রাজ্য সরকারের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)-এর নেতা ওমর আবদুল্লা।

এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেন, একটা কথা কিছুতেই আমার মাথায় ঢুকছে না! উপত্যকার পরিস্থিতি কতটা নিয়ন্ত্রণে তা বোঝাতে সম্প্রতি বহু অর্থ খরচ করে দেশ-বিদেশের সাংবাদিকদের উড়িয়ে এনেছিল সরকার। কত সুষ্ঠুভাবে যাত্রা সম্পন্ন হচ্ছে তা দেখিয়েছিল। আর তার পরই তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের চলে যেতে বলে এই নির্দেশিকা!

উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ১০ হাজার সদস্যকে নিয়ে উপত্যকায় পাঠানো হয়। পাঠানো হয় আধা সামরিক বাহিনীকেও। তখন সরকার জানিয়েছিল যে, স্বাধীনতা দিবসের আগে রাজ্যের নিরাপত্তা জোরদার করতেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার আরও ২৫ হাজার নিরাপত্তা রক্ষীকে কাশ্মীরে পাঠানো হয়। মূলত এরপর থেকেই উপত্যকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শুরু হয়।

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh