বরিস জনসনের প্রথম দাবিই প্রত্যাখ্যান করলো ইইউ
ব্রিটেনের নতুন প্রেসিডেন্ট বরিস জনসনের ব্রেক্সিট সংক্রান্ত প্রথম দাবিটিই প্রত্যাখ্যান করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে একথা জানায় যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
তিনি তথাকথিত আইরিশ বর্ডার ব্যাকস্টপ অন্তর্ভুক্ত করে পূর্বসূরি থেরেসা মে এর ব্যর্থ ব্রেক্সিট প্রত্যাহার চুক্তিটি পুনরায় সমঝোতার দাবি করলে তা বাতিল করে ইইউ।
বরিস জনসনকে ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদ জাঙ্কার বলেন, ব্রিটেনের সংসদে তিনবার প্রত্যাখ্যাত উইথড্রয়াল অ্যাগ্রিমেন্ট ছিল সবচেয়ে ভালো এবং একমাত্র সম্ভাব্য চুক্তি।
মে চুক্তিটির যে পর্যায়ে পৌঁছেছিলেন, সেখান থেকে পুনরায় আলোচনা শুরু করতে অস্বীকৃতি জানানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য ব্লকটির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ব্রিটেনকে ইইউ থেকে বের করতে গিয়ে ঠিক মে এর মতোই দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী যে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন, তা বেশ ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে।
ব্রেক্সিট কার্যকরের ক্ষেত্রে যদি ইইউ বা ব্রিটেনের মধ্যে কোনো পক্ষই তার দাবি না ছাড়ে, তবে আগামী ৩১ অক্টোবর চুক্তি ছাড়াই ব্লকটি থেকে ব্রিটেনকে বেরিয়ে যেতে হবে।
বরিস জনসন বৃহস্পতিবার সংসদে যে বক্তব্য রাখেন, তাতে মনে হচ্ছে তিনি কিছু সুবিধার বিনিময়ে কোনও চুক্তি ছাড়া ইইউ থেকে বেরিয়ে যেতে ব্রিটেনকে প্রস্তুত করছেন।
ব্রেক্সিট কার্যকরের পর ব্রিটেনের অন্তর্ভুক্ত উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং স্বাধীন আয়ারল্যান্ডের সীমান্তে মানুষ ও পণ্যের অবাধ চলাচলের নিশ্চয়তাকে বলা হচ্ছে ব্যাকস্টপ।
যদি শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চুক্তি কিংবা অন্য কোনও উপায়ে এই সীমান্ত উন্মুক্ত রাখার বিকল্প না পাওয়া যায়, তবে ব্যাকস্টপ কার্যকর হবে।
এতে ইইউ আইনের অধীনে থাকবে উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং ব্রিটেনকে ব্লকটির শুল্ক ও বাণিজ্য সংক্রান্ত কিছু নিয়ম মানতে হবে। তবে এটিকে সার্বভৌমত্ব বিরোধী মনে করছে ব্রেক্সিটপন্থিরা।
কে/পি
মন্তব্য করুন