ট্রাম্পকে জার্মানির দরিদ্র গ্রামে ফেরার আহ্বান তার পূর্বপুরুষদের
যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মনোনয়ন দেয়ার পর জার্মানির কালস্টাট গ্রামটি হঠাৎ সাংবাদিক ও পর্যটকদের জন্য আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। কারণ এটি তার পূর্বপুরুষদের বাসস্থান।
ট্রাম্পের দাদা ফ্রিয়েডরিক ট্রাম্প ১৮৬৯ সালে জার্মানির রাইনল্যান্ড প্যালেটিনেটের কালস্টাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ১৮৮৫ সালে ১৬ বছর বয়সে উন্নতমানের জীবনযাপনের আশায় নিজের জন্মস্থান ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন।
গ্রামটির এক হাজার ২০০ বাসিন্দা মেনে নিয়েছিল যে ট্রাম্প গ্রামটির কথা ভুলেই গেছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ৪ নারী কংগ্রেস সদস্যকে তারা যেখান থেকে এসেছেন, সেখানে ফিরে গিয়ে সেখানকার অপরাধ দমনের আহ্বান জানিয়েছেন।
এরপর কালস্টাট গ্রামের দরিদ্র বাসিন্দাদের কয়েকজন তাকে তার পরিবারের আদি বাসস্থানের কথা মনে করার আহ্বান জানিয়েছেন বলে মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।
জার্মানিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাদার গ্রাম কালস্টাট। ছবি: জার্মানির গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে
কালস্টাটের মেয়র থমাস জায়োরেক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের পূর্বপুরুষদের অনুন্নত বাসস্থান নিশ্চয় তাকে ফিরিয়ে আনবে। যদি ট্রাম্প এখানে আসেন, তবে তিনি অভিবাসী, নাগরিকত্ব ও একাত্মতার বিষয়ে একটি পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কালস্টাট ত্যাগ করবেন।
কালস্টাটের এক নারী সংঘের প্রধান বিয়াট্রিক্স রিয়েডে বলেন, প্রত্যেকের আদি বাসস্থান আছে এবং তার মতো আরেকজনের দেশত্যাগ দাবি করেন। আমি আশা করি আমেরিকানরা আগামী নির্বাচনে এমন কাউকে নির্বাচিত করবেন, যিনি ভেবেচিন্তে কথা বলবেন।
উল্লেখ্য, ফ্রিয়েডরিক ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর কালস্টাটে ফিরে এলিজাবেথ ক্রিস্ট নামের এক স্থানীয় মেয়েকে বিয়ে করেন। কিন্তু তিনি আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। তখন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মনে করে, তিনি বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনী চাকরি করতে চান না বলে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান।
কে/এমকে
মন্তব্য করুন