তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ইউরোপীয় ইউনিয়নের
সাইপ্রাসের উপকূলীয় অঞ্চলে মহড়া চালানোয় তুরস্কের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে একমত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
এদিকে এই পদক্ষেপকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে উল্লেখ করে এর কঠোর সমালোচনা করেছে তুরস্ক। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক খবরে এই তথ্য জানায় ইরানের গণমাধ্যম প্রেস টিভি।
ইইউ সোমবার তুরস্কের প্রতি নিন্দা জানিয়ে বলে, বারবার সতর্ক করার পরও পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অবৈধভাবে মহড়া চালানো অব্যাহত রেখেছে দেশটি।
এই ২৮ রাষ্ট্রের ব্লক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে তুরস্কের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় একটি বিমান চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনা স্থগিত করেছে।
কম্প্রিহেনসিভ এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাগ্রিমেন্ট নামের এই চুক্তির বিষয়ে উভয় পক্ষের উচ্চ-পর্যায়ের মধ্যে এই আলোচনা হওয়ার কথা ছিল।
ইইউয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জানান, আগামী বছর প্রি-অ্যাকসেশন অ্যাসিস্ট্যান্সে তুরস্কের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ কমাবে ব্লকটি।
তারা জানান, তুরস্ককে আর্থিক সহযোগিতা দেয়ার ক্ষেত্রে শর্তগুলো পর্যালোচনা করতে ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংককে আহ্বান জানিয়েছে ব্লকটি।
আরও জানান, ইইউয়ের নির্বাহী শাখা ইউরোপিয়ান কমিশনকে এই মহড়া পর্যবেক্ষণের জন্য সম্ভাব্য সবধরনের পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছে ব্লকটি।
গত মাসে তুরস্ক অঞ্চলটিতে সম্ভাব্য লুক্রেটিভ গ্যাসের উৎস অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পর ইইয়ের কাছে দেশটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানায় গ্রিস ও সাইপ্রাস।
পরবর্তীতে তুরস্ক সাইপ্রাসের উপকূলে তেল ও গ্যাসের জন্য মহড়া চালাতে দুটি জাহাজ পাঠায় তুরস্ক।
ইইউয়ের এসব পদক্ষেপের বিষয়ে তুরস্ক জানায়, ব্লকটির ব্যর্থতা হলো সিদ্ধান্তগুলোতে তুর্কি সাইপ্রিয়টের কথা উল্লেখ না করা। এতেই স্পষ্ট যে সাইপ্রাস ইস্যুতে ইইউ কতটা পক্ষপাতদুষ্ট।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানায়, এসব সিদ্ধান্ত পূর্ব ভূমধ্যসাগরে আমাদের হাইড্রোকার্বন কর্মসূচিতে মোটেও প্রভাবিত করবে না।
উল্লেখ্য ১৯৭৪ সালের পর থেকে দ্বীপটি তুর্কি সাইপ্রিয়ট নিয়ন্ত্রিত উত্তরাঞ্চল এবং গ্রিক সাইপ্রিয়ট নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণাঞ্চল হিসেবে দুই ভাগে বিভক্ত হয়।
কে/এমকে
মন্তব্য করুন