পরমাণু চুক্তি থেকে ট্রাম্পের বেরিয়ে যাওয়ার কারণ ওবামা!
নিজের পূর্বসূরীর প্রতি ঘৃণা থেকেই বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে ছয়জাতির পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিটেনের সাবেক রাষ্ট্রদূত স্যার কিম ডারখের ফাঁস হওয়া একটি মেমোতে এ তথ্য জানা গেছে।
স্যার কিম ট্রাম্পের ওই আচরণকে ‘কূটনৈতিক নৈরাজ্য’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। চুক্তি থেকে সরে না আসতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করাতে বরিস জনসনের হোয়াইট হাউজ সফরের পর স্যার কিম ওই মেমো লিখেছিলেন।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিষয়ে ব্রিটেনে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে-এমন পরিপ্রেক্ষিতে নতুন এই তথ্য সামনে এলো। এর আগে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড জানিয়েছিলেন, ওই তথ্য ফাঁস ‘ফৌজদারি অপরাধ’। আর এরপরই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বরিস জনসন ও জেরেমি হান্ট বেশ সরব হয়ে ওঠেন।
২০১৮ সালের মে মাসে তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন ট্রাম্পকে বোঝাতে ওয়াশিংটন সফর করেন। কিন্তু ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাদের সঙ্গে ২৬ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করার পরও তিনি বুঝতে পারেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন না।
জনসন ওয়াশিংটন ছেড়ে যাওয়ার পর স্যার কিম ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে একটি কূটনৈতিক বার্তা পাঠান। সেখানে তিনি লিখেন, ট্রাম্প প্রশাসন ‘একটি কূটনৈতিক নৈরাজ্যমূলক কাজ’ করার দিকে এগোচ্ছে। স্যার কিম তার ওই বার্তায় জানান, তার পূর্বসূরী বারাক ওবামা ওই চুক্তিটি করেছিলেন-তাই ‘ব্যক্তিগত কারণে’ এটি বাতিল করেন ট্রাম্প।
তবে ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টার মধ্যেও বিভক্তি ছিল বলে লিখেন স্যার কিম। এমনকি ওই চুক্তি বাতিল করার পর হোয়াইট হাউজের ‘দৈনন্দিন’ করণীয় বিষয়ে কোনও কৌশল নির্ধারণ করা ছিল না বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
এক সপ্তাহ আগে ফাঁস হওয়া প্রথম মেমোতে ওই সময়ের ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার কিম ট্রাম্প প্রশাসনকে ‘তালগোল পাকানো ও অকর্মা’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। পরবর্তীতে যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে বুধবার পদত্যাগ করেন স্যার কিম।
এ
মন্তব্য করুন