• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নির্বাচনের আগে রাম রহিমের প্যারোল চাইছে হরিয়ানা প্রশাসন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৫ জুন ২০১৯, ১৬:০২
ছবি: সংগৃহীত

ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত রাম রহিমের প্যারোলে মুক্তির আবেদনকে সমর্থন করেছে হরিয়ানা সরকার। তারা বলছে, পালিত মেয়ের বিয়েতে উপস্থিত হওয়ার জন্য রাম রহিম প্যারোলে মুক্তির যে আবেদন করেছিলেন-তা মানবিক। তাই মানবিক কারণে তার আবদেনে সাড়া দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে মনোহরলাল খাট্টার প্রশাসন।

তবে বিরোধীদের অভিযোগ, চার মাস পরে হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন। তাই পরিকল্পনামাফিক এই পদক্ষেপ নিয়েছে বিজেপি সরকার। কারণ হরিয়ানা ও প্রতিবেশী পাঞ্জাবে রাম রহিমের প্রচুর সমর্থক আছে। প্যারোলের বিষয়ে সাহায্য করে সেই সমর্থকদের মন জয় করতে চাইছে খাট্টার প্রশাসন। নির্বাচন জেতার জন্যই এই পন্থা অবলম্বন করেছে তারা।

এ প্রসঙ্গে হরিয়ানার কারামন্ত্রী কে এল পানোওয়ার বলেন, প্রত্যেক সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির এক বছর পর প্যারোলের জন্য আবেদনের অধিকার আছে। তিনি (রাম রহিম) একটা আবেদন পাঠিয়েছিলেন। আমরা সেটা সিরসা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। রিপোর্ট দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। নির্বাচনের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই। যদি সত্যিই আমাদের সেই উদ্দেশ্য থাকতো তাহলে লোকসভা নির্বাচনের আগে তাকে ছেড়ে দিতাম। সরকারের এই রকম কোনও চিন্তাই নেই।

রাজ্যের অন্য দুই মন্ত্রী কৃষ্ণা পওয়ার এবং অনিল ভিজও ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত ধর্মগুরুর আবেদনকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাদের দাবি, ডেরা সাচ্চা সৌদার প্রধান রাম রহিমের ব্যবহার জেলে খুব ভাল ছিল। তাই অন্য বন্দির মতো তারও প্যারোলে বাইরে বেরোনোর অধিকার আছে।

এর আগে গত মে মাসে রাম রহিমের প্যারোলের আবেদন খারিজ করেছিল পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। তখন আদালতের যুক্তি ছিল, গুরমিত রাম রহিম সিং জেলের বাইরে বেরোলে ২০১৭ সালের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

বিচারপতি কুলদীপ সিং বলেছিলেন, সাজাপ্রাপ্ত জেলের বাইরে বেরোলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে। নতুন করে তাকে গ্রেপ্তার করতে সমস্যা হতে পারে। তাই প্যারোলে মুক্তি দেয়ার কোনও কারণ নেই।

কিন্তু এক মাস পর সেই পর্যবেক্ষণকে কার্যত পাত্তাই দিল না হরিয়ানা রাজ্য সরকার। তা অমান্য করে ৫১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিতর্কিত ধর্মগুরুর আবেদনের স্বপক্ষে আদালতে সুপারিশ পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে হরিয়ানার বিতর্কিত ডেরা সাচ্চা সৌদার প্রধান রাম রহিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ডেরার দুই সাধ্বী চিঠি দিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান। এ নিয়ে মামলা চলার পর তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। অন্য আরেক মামলায় একজন সাংবাদিককে খুনের অভিযোগে ১৬ বছরের কারাদণ্ড হয় রাম রহিমের।

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাবার জানাজায় ডান্ডাবেড়ি পায়ে ছাত্রদল নেতা
X
Fresh