মিয়ানমারকে দেয়া সহায়তা প্রত্যাহারের হুমকি জাতিসংঘের
মিয়ানমারের সরকার যদি রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি ‘জাতিবিদ্বেষের নীতি’ ত্যাগ না করে, তবে রাখাইন রাজ্যের জন্য দেয়া সহায়তা প্রত্যাহার করে নেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে জাতিসংঘ।
সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মিয়ানমার সরকারকে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী নাট ওস্টবির পাঠানো এ সংক্রান্ত একটি চিঠির ভিত্তিতে একথা জানায় যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র গার্ডিয়ান।
গত ৬ জুনের এই চিঠিতে বলা হয়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এখন থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের অবাধ চলাচলের ক্ষেত্রে বাস্তব অগ্রগতি দেখা না গেলে দেশটিকে দেয়া সহায়তা প্রত্যাহার করে নেয়া হবে।
মিয়ানমারের সামাজিক কল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী ড. উইন মিয়াত আয়ে’কে পাঠানো এই চিঠিতে বলা হয়, পুরোনো বা নতুন ক্যাম্পগুলোতে মৌলিক চাহিদা পূরণ এবং জীবিকা অর্জনের সুব্যবস্থা নেই।
এক কথায় ক্যাম্পগুলোর অবস্থান ও অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত আছে বলে উল্লেখ করে মিয়ানমারের সরকারকে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দেয়া হয় জাতিসংঘের পক্ষ থেকে।
মিয়ানমারে জাতিসংঘের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, দেশটিতে রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য স্থায়ী বাসস্থান বা ক্যাম্প তৈরি করছে, যার ফলে তাদের প্রতি জাতিবিদ্বেষ দীর্ঘস্থায়ী হবে। এতেই আপত্তি জাতিসংঘের।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর বিষয়ে কয়েক মাস ধরে দেশটিকে সতর্ক করছে জাতিসংঘ। এই প্রথম জাতিসংঘ দেশটির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুমকি দিলো।
গত কয়েক বছরে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। ২০১২ সালের সহিংসতা এবং ২০১৬ সালের অক্টোবরে কয়েক হাজার রোহিঙ্গার বসতবাড়ি ধ্বংস করে ফেলা হয়।
এরপর ২০১৭ সালের আগস্টে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর দমনপীড়নের মুখে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। দেশটিতে এখনও ৫০ হাজার রোহিঙ্গা আছে।
কে/এমকে
মন্তব্য করুন