ভারতের বিহারে তীব্র দাবদাহে একদিনে ৪০ জনের মৃত্যু
ভারতের বিহারে শনিবার তীব্র দাবদাহে ৪০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে চলতি মাসে রাজ্যটির মুজাফফরপুরে অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিস সিনড্রোম (এইএস) ভাইরাস সংক্রমণে ৮২টি শিশু মারা গেছে।
তীব্র দাবদাহের কারণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে অওরঙ্গাবাদ, গয়া ও নওয়াদা থেকে। অওরঙ্গাবাদে ২৭ জন ও গয়ায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালের (এএনআই) বরাত দিয়ে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
অওরঙ্গাবাদের রাষ্ট্র পরিচালিত একটি হাসপাতালের চিকিৎসক ড. সুরেন্দ্রপ্রসাদ সংবাদ সংস্থাটিকে জানান, মৃতদের বেশির ভাগই উচ্চতাপমাত্রার কারণে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। জেলাটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জেলাটির বিভিন্ন হাসপাতালে অনেকে চিকিৎসাধীন আছে।
দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. হর্ষবর্ধনের বরাত দিয়ে এএনআই জানায়, দাবদাহের কারণে মানুষের মৃত্যু খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমি এখানকার মানুষদেরকে তাপমাত্রা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তীব্র গরমে বাইরে চলাফেরা করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন রোববার বিহারের মুজাফফরপুর পরিদর্শন করেন। ছবি: ছবি: ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি
তিনি সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে মঙ্গলবার মুজাফফরপুরে যান। বিহারের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, তীব্র গরমে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়ায় মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এই পরিস্থিতিকে হাইপোগ্লাইসিমিয়া বলে উল্লেখ করেছে তারা।
রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এসব মৃত্যুর ঘটনায় শোক জানিয়েছেন এবং মৃতদের পরিবারপিছু চার লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। এই সপ্তাহের শুরুতে তিনি বলেন, এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতার ঘাটতি আছে।
দেশটি এই বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সাক্ষী হয়েছে। দিল্লি, রাজস্থানের চুরু, উত্তরপ্রদেশের বান্দা ও এলাহাবাদ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সাধারণত দুদিনের বেশি তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে দাবদাহ বলে ঘোষণা করা হয়ে থাকে।
কে/পি
মন্তব্য করুন