সুদানে গণতন্ত্রপন্থিদের ওপর দমনপীড়নে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০
সুদানের রাজধানী খার্তুমে গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীদের ওপর দমনপীড়নে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ হয়েছে বলে জানিয়েছে বিরোধীদলগুলো।
একটি সশস্ত্র প্যারামিলিটারি গোষ্ঠীর সদস্যরা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা করে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসি।
সোমবার দেশটির নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর ট্র্যানজিশনাল মিলিটারি কাউন্সিলের (টিএমসি) সেনারা প্রকাশ্যে গুলি ছুড়লে এই সহিংসতা শুরু হয়।
এই হামলার জন্য সামরিক বাহিনীটিকে আন্তর্জাতিক নিন্দার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। খার্তুমের অনেক বাসিন্দার মতে, এই সহিংসতার জন্য দায়ী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)।
এই প্যারামিলিটারি ইউনিট আগে জানজায়ীদ মিলিশিয়া নামে পরিচিত ছিল। ২০০৩ সালে পশ্চিম সুদানের দারফুর সংঘর্ষের জন্য কুখ্যাতি অর্জন করে এই ইউনিট।
এদিকে মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে এই সহিংসতার প্রতি নিন্দা জানানোর প্রচেষ্টায় বাধা দিয়েছে চীন এবং দেশটিকে সমর্থন দিয়েছে রাশিয়া।
সুদানের রাজধানী খার্তুমজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেয়া জনশূন্য হয়ে গেছে শহরটি। ছবি: বিবিসি
সুদানিজ প্রোফেসনালস অ্যাসোসিয়েশন (এসপিএ) জানায়, সোমবারের অভিযানটি ‘রক্তাক্ত হত্যাকাণ্ডের’ সমান। গত বছরের ডিসেম্বরে সুদানজুড়ে বিক্ষোভের পেছনে মূল ভূমিকা পালন করে এসপিএ।
এসপিএ জানায়, সোমবার যা ঘটেছে, তার জন্য টিএমসি দায়ী। ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বর্তমানে সুদানের শাসন ক্ষমতা পরিচালনা করছে টিএমসি।
পর সুদানের গণতন্ত্রপন্থি নেতারা রাতের মার্চে অংশ নিতে এবং ‘সার্বিক সরকারি অবাধ্যতার’ অংশ হিসেবে প্রধান সড়ক অবরোধ করে দেশজুড়ে ‘জনজীবন স্থবির’ করার আহ্বান জানায়।
সহিংসতার বিষয়ে টিএমসি জানায়, তারা প্রধান বিরোধী জোটের সঙ্গে করা সব চুক্তি বাতিল করছে। আগামী নয় মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনার দিকে এগিয়ে যাবে তারা।
কে/এমকে
মন্তব্য করুন