কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন ১০০ বছর বয়সী জার্মান নারী
জার্মানির একজন শতবর্ষী নারী স্থানীয় একটি নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সূচনা করেছেন। রোববার পশ্চিম জার্মানির কির্চহেইমবোলানদেন শহর থেকে নির্বাচিত হন তিনি। খবর সিএনএনের।
শতবর্ষী ওই নারী লিসেল হেইস তৃণমূল পর্যায়ের গ্রুপ ‘উইর ফুর কিবো’র অংশ। তিনি আট হাজার বাসিন্দার কির্চহেইমবোলানদেন শহর থেকে নির্বাচন করা বাকি সব কাউন্সিলর প্রার্থীর চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন।
উইর ফুর কিবো (আমরা কির্চহেইমবোলানদেনের জন্য) টেকসই উন্নয়ন, নাগরিক অংশগ্রহণ ও যুব অংশগ্রহণের পক্ষে প্রচার চালায়।
জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাইনল্যান্ড-পালাটিনেট রাজ্যের কির্চহেইমবোলানদেন শহরের মেয়র ক্লস হার্টমুলার বলেছেন, তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে শক্ত আছেন এবং তার কাজ করতে সক্ষম।
তিনি বলেন, গত এপ্রিল মাসে লিস হেইসের ১০০ বছর পূর্ণ হয়। চলতি বছরের বসন্তে তিনি কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেন এবং তিনি জিতেও যান! শুধু তাই নয়; তিনি ২০ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রথম স্থান দখল করেছেন।
সাবেক শিক্ষক ও আগ্রহী সাঁতারু হেইস তার নির্বাচনী প্রচারণায় স্থানীয় একটি আউটডোর পুল পুনরায় চালুর করার কথা বলেছেন।
হার্টমুলার বলেন, ২০১১ সালে ফ্রেইবাড আউটডোর সুইমিং পুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সেখানে সাঁতার কাটতে যেতেন হেইস। সাঁতার ও আমাদের আউটডোর সুইমিং পুল পুনরায় চালু করা তার আন্তরিক ইচ্ছা।
এর আগেও পুলের অবস্থা নিয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন হেইস। তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, যখনই আমি সুইমিং পুল দিয়ে কথা বলা শুরু করতাম মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেয়া হতো এবং শেষপর্যন্ত আমি এটা নিয়ে কথা বলাই বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ এর কোনও মানে নেই।
তিনি বলেন, কিন্তু এখন আমার বয়স ১০০ বছর। আমার অবস্থা আগের মতো নেই। এখন আমি মুখ খোলার ও কিছু বলার সুযোগ পেয়েছি।
হার্টমুলার বলেন, ওই পুল পুনরায় চালু করা ছাড়াও হেইস আরও বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। তিনি যুব সমাজ ও শিশুদের জন্য একটি ক্লাব খোলা ও সেটি চালু রাখতে সাহায্য করতে চান।
জার্মান নিউজ চ্যানেল এন-টিভিকে হেইস বলেন, যুব সমাজকে দ্বিতীয় সারির নাগরিক হিসেবে ঠেলে দেয়া হয়েছে।
এ/পি
মন্তব্য করুন