ইরানকে মোকাবিলায় সৌদির কাছে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের
ইরানের সাথে উত্তেজনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের কাছে শত শত ডলারের অস্ত্র বিক্রি অনুমোদন করতে যাচ্ছেন। এর কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, সৌদি আরবের প্রতি ইরানের হুমকি বেড়েই চলেছে।
কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়েই সৌদি আরবের কাছে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করা হচ্ছে। এজন্য তিনি এমন একটি আইনের আশ্রয় নিতে যাচ্ছেন যেটি সচরাচর ব্যবহার করা হয় না।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন, ইরানের সাথে উত্তেজনা এমন এক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে সেটা জাতীয়ভাবে জরুরী বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন, সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী এসব অস্ত্র ইয়েমেনের বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে।
বিরোধী ডেমোক্র্যাট দলের অনেক নেতা কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির উদ্যোগের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তারা বলছেন, প্রস্তাবটি ক্যাপিটল হিলে উত্থাপন করা হলে এর বিরোধিতা করা হতো।
খবরে বলা হচ্ছে, সৌদি আরব ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডানের কাছে প্রচুর অস্ত্র বিক্রি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
কংগ্রেসের সদস্যরা সৌদি আরবে মানবাধিকার পরিস্থিতির কড়া সমালোচনা করেছেন। বিশেষ করে ইয়েমেন যুদ্ধে দেশটির ভূমিকা এবং গত বছরের অক্টোবর মাসে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অনেক কংগ্রেস সদস্য অসন্তুষ্ট।
এই অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্তের কথা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও শুক্রবারই কংগ্রেসকে অবহিত করেছেন।
এক চিঠিতে তিনি সেটা জানিয়েছেন বলে মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই চিঠিতে তিনি বলেন, ইরানের শত্রুতামূলক তৎপরতার কারণে অনতিবিলম্বে অস্ত্র বিক্রয়ের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পম্পেও আরও লিখেন, ইরানের নানা তৎপরতা মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্যে বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। হুমকি হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার ব্যাপারেও। দেশের ভেতরে ও বাইরে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে ইরান। ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফবলেছেন, আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য এটা এক বিপদজনক সিদ্ধান্ত।
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক শক্তি বাড়ানোর কথা ঘোষণা করার পরপরই সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলো। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, তারা মধ্যপ্রাচ্যে আরও যুদ্ধবিমান ও ড্রোন মোতায়েন করবে। পাঠাবে আরও দেড় হাজারের মতো মার্কিন সৈন্য।
এ
মন্তব্য করুন