• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কলম্বিয়ার ‘রংধনু’ নদী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৭ মে ২০১৯, ১৪:২৪
ছবি: সংগৃহীত

হঠাৎ দেখে মনে হবে যেন রংধনু গলে বয়ে চলেছে। ৬২.১ মাইল দীর্ঘ নদীর কোথাও টানা হলুদ রঙ, কোথাও লাল, কোথাও সবুজ, কোথাও নীল, আবার কোথাওবা কালো। নদীর অসাধারণ এই রূপ চোখে পড়বে কলম্বিয়ার ম্যাকারেনা ন্যাশনাল পার্কে। সেখানে নজরকাড়া এই নদী ‘রিভার অব ফাইভ কালার্স’ বা ‘গলে পড়া রংধনু’ নামেই খ্যাত।

কিন্তু কেন এই নদীর পানির এমন ভিন্ন ভিন্ন রঙ? আসলে পানি নিচের সামুদ্রিক গাছগুলোর ফুলের সমাহারের কারণেই নদীর এই রঙিন রূপ। গাছগুলো যখন ফুলে ফুলে ভরে ওঠে, তখন নদীর রঙ উপচে পড়ে। আর সেই কারণেই, এই সৌন্দর্য উপভোগ করার আদর্শ সময় জুন থেকে নভেম্বর মাসে, যখন আবহাওয়া খুব বেশি গরমও নয়, ঠান্ডাও নয়।

বর্ষার সময় নদীতে পানি বেড়ে যায়, বাড়ে স্রোতও। আর সূর্যালোক নদীর তলদেশের গাছ অবধি পৌঁছায় না, ফলে ফুলও তেমন ফোটে না। আর অতিরিক্ত গরমে নদীর পানি এতোই কমে যায়, গাছগুলো পর্যাপ্ত পানি পায় না। ফলে জুন থেকে নভেম্বর মাসেই এই ন্যাশনাল পার্কে ভিড় জমান পর্যটকরা।

যত দিন যাচ্ছে, পর্যটকদের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। আর তাতেই ভীত হচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ভয়, যত বেশি পর্যটক বাড়বে, জীববৈচিত্র্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তত বেশি। তবে কলম্বিয়ার পর্যটন বোর্ড এই নদী বাঁচাতে তৎপর। তারা পর্যটকের সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে। দিনে দুইশোর বেশি পর্যটক ওই নদী দেখতে যেতে পারবেন না। সেটিও একসঙ্গে সর্বোচ্চ সাতজন করে যেতে পারবেন।

এদিকে নদীর একাংশে পর্যটকদের সাঁতার কাটার সুযোগ রয়েছে। তবে সানস্ক্রিন লোশন বা কোনও ধরনের কীটনাশক স্প্রে লাগিয়ে নদীতে নামা যাবে না। স্পর্শকাতর এই গাছগুলো রাসায়নিকের সংস্পর্শে এলেই নেতিয়ে পড়ে। সেগুলোকে বাঁচাতেই এতো কড়া নিয়ম-নীতি।

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
স্পেনকে হারিয়ে কলম্বিয়ার ইতিহাস
কলম্বিয়া ওয়াশিং প্ল্যান্টের অনন্য অর্জন
কলম্বিয়াকে হারিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল
কলম্বিয়ায় ভূমিধসে নিহত ১৮
X
Fresh