মিশরে গির্জায় নারীদের ‘খোলামেলা’ পোশাকের সমালোচনা করে বিতর্কের মুখে যাজক
মিশরে গির্জায় নারীদেরকে ‘খোলামেলা’ পোশাক পরতে নিষেধ করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন দাউদ লামে নামের এক কপ্টিক যাজক। অনেকে তার সমালোচনা করলেও কেউ কেউ তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।
রোববার (১২ মে ২০১৯) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় জার্মানির গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে। এতে বলা হয়, কায়রোর গির্জার এই যাজক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়।
আরও বলা হয়, গত ৩০ এপ্রিল অর্থোডক্স ইস্টারের ভাষণে ‘খোলামেলা’ পোশাক পরায় খ্রিস্টান নারীদের কঠোর সমালোচনা করেন এই দাউদ লামে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, খোলামেলা ও অশালীন পোশাকে নারীরা কেন গির্জায় আসবে? যে এটা করবে, তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যে পুরুষ তার স্ত্রীকে খোলামেলা পোশাকে বের হতে দেবে, তাকেও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
নারীদের পোশাক নিয়ে মজা করে এই যাজক বলেন, অন্তত বড়দিনের সময় এমন পোশাক পরবেন না। কারণ, এসময় সবকিছু বেশ ঠাণ্ডা থাকে। আমরা চাই সবসময়ই এমন ঠাণ্ডা থাকুক।
যাজকের এমন বক্তব্য নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে মিশরের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে বেশ বিতর্ক চলছে বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের সংবাদ সংস্থা এএফপি।
অনেকে তার কঠোর সমালোচনা করছেন, আবার কেউ কেউ মনে করছেন যে যাজক এমন উপদেশ দিতেই পারেন।
সান্দ্রা আওয়াদ নামের ২২ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী বলেন, তিনি কেবল নারীদের নিন্দা করেছেন কিন্তু গির্জায় নারী-পুরুষ সবার জন্য যথাযথ ড্রেসকোড ও আচরণ নিয়ে কোনও কথা বলেননি।
তবে যাজকের বক্তব্যে সমর্থন জানিয়ে এক নারী ফেসবুকে লিখেছেন, এই যাজক সবার প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে কথা বলেছেন যাতে সবাই জাগতে পারে এবং গির্জার প্রতি সম্মান দেখায়।
নিজের বক্তব্য এবং সমালোচনার বিষয়ে ফ্রান্সের সংবাদ সংস্থাটি প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি যাজক দাউদ লামে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর জাঁকজমকপূর্ণভাবে অর্থোডক্স ইস্টার পালন করে থাকে মিশরের প্রধান সংখ্যালঘু কপ্টিক খ্রিস্টানরা। ১০ কোটি জনসংখ্যার মুসলিম দেশটিতে তাদের সংখ্যা ১২ শতাংশ।
কে/এমকে
মন্তব্য করুন