মায়েদের অজান্তে ৪৯ শিশুর বাবা নেদারল্যান্ডসের এক ডাক্তার
নেদারল্যান্ডসের ডাক্তার জান কারবাটের ক্লিনিকে ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) মা হতে ভিড় জমাতেন নারীরা। কিন্তু দাতাদের শুক্রাণুর পরিবর্তে এসব নারীর শরীরে একের পর এক নিজের শুক্রাণু ভরে ঢুকিয়ে দিতেন তিনি। এভাবে তিনি মায়েদের অজান্তেই ৪৯ সন্তানের বাবা হয়েছেন।
শনিবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। ডিফেন্স ফর চিলড্রেন নামের এক সংগঠনের বিবৃতির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, শুক্রবার দেশটির নিজমেগেনের দক্ষিণপূর্ব শহরের একটি হাসপাতালে এই ৪৯ শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়।
ফেব্রুয়ারিতে একটি ডাচ আদালতের রুলের পর কারবাটের ক্লিনিকে আইভিএফ পদ্ধতিতে মা হতে আসা নারীদের শরীরে তার শুক্রাণু ঢোকানোর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এই রুলে বলা হয়, এসব শিশুর জন্মদাতা কে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাদের এবং কারবাটের ডিএনএ পরীক্ষা করা উচিত।
অবশ্য ২০১৭ সালে ৮৯ বছর বয়সে মৃত্যু হয় কারবাটের। অনিয়মের অভিযোগে তার ক্লিনিকটি বন্ধ হয়ে যায় ২০০৯ সালে। মৃত্যুর আগে কারবাটের ক্লিনিকে তার শুক্রাণুতে প্রায় ৬০টি শিশুর জন্ম হয় বলে তিনি স্বীকার করেছিলেন। তখন একাধিক গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবরও প্রকাশিত হয়।
কারবাটের শুক্রাণুতে জন্মানো শিশুরা তাদের পরিবারকে তার ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য করে। বাদী পক্ষের আইনজীবী এর আগে বলেছিলেন যে কিছু শিশুর চোখ বাদামি কিন্তু শুক্রাণু দানকারীর চোখ নীল ছিল। আবার একটি শিশু দেখতে একেবারেই এই ডাক্তারের মতো।
এদিকে কারবাটের পরিবারের আইনজীবীদের যুক্তি ছিল যে তাদের মক্কেলের গোপনীয়তার অধিকারকে সম্মান দেখাতে হবে। এই বিষয়ে ডিফেন্স ফর চিলড্রেনের উপদেষ্টা আইয়ারা ডি উইট বলেন, বিচারক শেষপর্যন্ত পিতৃত্ব যাচাইয়ে কারবাট ও তার পরিবারের ওপরে শিশুদের অধিকারকেই স্থান দিয়েছেন।
কে/জেএইচ
মন্তব্য করুন