গোলানে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব প্রত্যাখ্যান ব্রিটেন-ফ্রান্স-জার্মানি-বেলজিয়াম-পোল্যান্ডের
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া গোলান উপত্যকায় ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম ও পোল্যান্ড। টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউরোপের এই পাঁচ দেশ জানায়, সংস্থাটির রেজুলেশনে সন্নিবেশিত আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ইসরায়েল-অধিকৃত সিরিয়ার ভূখণ্ডটির বিষয়ে তারা তাদের অবস্থান পালটাবে না।
বেলজিয়ামের দূত মার্ক পেস্টিন ডি বুইটসওয়ের্ভ সাংবাদিকদেরকে বলেন, ১৯৬৭ সালের জুন মাসের পর থেকে ইসরায়েল গোলান উপত্যকাসহ যে ভূখণ্ডগুলো দখল করেছে, সেগুলোতে দেশটির সার্বভৌমত্ব স্বীকার করি না। আমরা এগুলোকে ইসরায়েলের অংশ মনে করি না।
তিনি বলেন, এই অবৈধ স্বীকৃতির ফলে উভয় দেশের সীমান্তে উত্তেজনা বাড়তে পারে যা আঞ্চলিক সমস্যায় পরিণত হবে শেষপর্যন্ত। এসময় ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও পোল্যান্ডের দূতরা তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন।
সোমবার গোলান উপত্যকায় ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণাপত্রে সই করেন ট্রাম্প। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হোয়াইট হাউজ সফরের পর এই আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, এটিই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গোলানে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের ‘পুরোপুরি স্বীকৃতি’ দেয়ার উপযুক্ত সময়। সোমবারের ঘোষণাপত্রটির মাধ্যমে তার এই মন্তব্য আনুষ্ঠানিক রূপ পায়।
আগামী ৯ এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে নেতানিয়াহুকে দেয়া এই সমর্থন তাকে অনেকাংশে এগিয়ে রাখবে। হোয়াইট হাউজে নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প বলেন, এর জন্য অনেক সময় লেগে গেছে।
ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে ছয়দিনের যুদ্ধের সময় সিরিয়ার গোলান মালভূমি উপত্যকার অধিকাংশ দখল করে নেয় এবং ১৯৮১ সালে এখানে নিজেদের শাসন ও আইন বলবৎ করে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনও গোলান উপত্যকায় ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করেনি।
আরো পড়ুন:
কে/ডি
মন্তব্য করুন