• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পুলওয়ামা হামলার খবর পেয়েও শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন মোদি, অভিযোগ কংগ্রেসের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:১২

পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় যখন ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছেন সিআরপি জওয়ানরা, নরেন্দ্র মোদি তখন করবেট জঙ্গলে শুটিংয়ে ব্যস্ত! আজ এই তথ্য প্রকাশ করে কংগ্রেসের প্রশ্ন, আপনি কী বলিউডের চিত্রতারকা, না দেশের প্রধানমন্ত্রী?

কংগ্রেসের দেওয়া তথ্য মিথ্যা বলে খারিজ করতে পারেনি বিজেপি। তবে তাদের অভিযোগ, এই সব কথা বলে আদতে পাকিস্তানের হাতই শক্ত করা হচ্ছে।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় বিস্ফোরণের দিন নৈনিতালের জিম করবেট জাতীয় উদ্যানে একটি বেসরকারি চ্যানেলের উদ্যোগে বাঘ নিয়ে তৈরি হওয়া তথ্যচিত্রের শুটিংয়ে গিয়েছিলেন মোদি। রাম নগরের স্থানীয় সংবাদপত্রগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর সেই সফরের প্রতিটি মিনিটের বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে। আর সেই বিবরণ হাতিয়ার করেই মোদিকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস।

সংবাদপত্রের বিবরণ বলছে, শুটিং শুরু হয়েছিল দুপুরে। বিকেল নাগাদ বিস্ফোরণের খবর আসার পরেও তা থামেনি। শুটিং চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। তারপর সরকারি অতিথিশালায় চায়ের আড্ডায় খোশগল্পে মেতে ওঠেন তিনি।

সেই সূত্র ধরেই কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার অভিযোগ, ৩টা ১০ মিনিটে সিআরপিএফের কনভয়ে বিস্ফোরণ হয়। অথচ আপনি পৌনে ৭টা পর্যন্ত নৌবিহার করেন, শুটিং চালিয়ে যান। সে দিন সন্ধ্যায় আহত আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা যখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন, তখন রাম নগরের সরকারি অতিথিশালায় বসে চ্যানেলের কর্মীদের সঙ্গে চা-পাকোড়ার আড্ডায় মেতেছিলেন আপনি। অথচ পুরো দেশ জওয়ানদের মৃত্যুতে খাওয়া ভুলে গিয়েছিল।

পুলওয়ামা বিস্ফোরণের পরে উগ্র দেশাত্ববোধের হাওয়া তুলে ভোটবাক্সে তার ফায়দা নিতে বিজেপি যখন মরিয়া তখন খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে রীতিমতো অস্বস্তিতে দলীয় নেতৃত্ব। নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, উগ্র দেশাত্ববোধের হাওয়া তোলাটা এক অর্থে বাঘের পিঠে চড়ে বসার মতো। এখন সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা, পাকিস্তানকে শক্ত জবাব দিতে হবে। কী করলে সেই প্রত্যাশা খানিকটা হলেও পূরণ হবে, তা খুঁজে বের করাই আসল চ্যালেঞ্জ। তার ওপর নিহত জওয়ানদের শেষকৃত্যের সময় সেলফি তুলে, হাসিঠাট্টা করে দলকে সমস্যায় ফেলেছেন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা। আর এবার মোদির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠল, তাতে তো দল আরও ব্যাকফুটে।

আজ শুক্রবার কংগ্রেসের তোলা অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপরে বেশ চটে যান কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তার বক্তব্য, যারা সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তাদের কাছ থেকে এর বেশি আর কী আশা করা যায়! কংগ্রেসের অভিযোগে যদি কেউ খুশি হয়, তা হলো পাকিস্তান। তার কথায়, এ হলো কংগ্রেসের নির্লজ্জ রাজনীতি। সেনাদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা। শুনে মনে হচ্ছে ইমরান খানের সুরেই কথা বলছে কংগ্রেস।

কংগ্রেস সূত্র আবার বলছে, পুলওয়ামা নিয়ে রাজনীতির ময়দানে তারা প্রথম নামেনি। ঘটনার দিনই রাহুল গান্ধী বলে দিয়েছিলেন, এ নিয়ে তারা রাজনীতি করবেন না।

কিন্তু গতকাল বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেন, জওয়ানদের বলিদান বৃথা যাবে না। কারণ, ক্ষমতায় বিজেপি আছে, কংগ্রেস নয়। ফলে বাঁধটা তিনিই ভেঙেছেন। তাছাড়া, মোদির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা রাজনীতি হবে কেন?

সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিরও বলেন, যখন সবাই এক জোট, তখন অমিত শাহই এ নিয়ে রাজনীতির পথে হাঁটেন।

কংগ্রেসের মুখপাত্র রন্দীপ সুরজেওয়ালা বলেন, বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল তার মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করা। তা না করে তিনি অতিথিশালার বাইরে জনতার অভিবাদন কুড়িয়েছেন। তার কথায়, একজন প্রধানমন্ত্রীর ওই কাজ সাজে? বিশেষ করে যখন তিন ঘণ্টা আগে বিস্ফোরণে ৪০ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।

যদিও বিজেপির যুক্তি, আবহাওয়া খারাপ থাকায় সঙ্গে সঙ্গে দিল্লি ফিরে আসতে পারেননি মোদি। তাই রাম নগর থেকেই বৈঠক করেন শীর্ষ মন্ত্রীদের সঙ্গে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মোদির বিরুদ্ধে ইসিতে ২০ হাজার নাগরিকের চিঠি
‘দাদাগিরি’, ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর শুটিং সেটে ভয়াবহ আগুন
মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের জন্য সহায়তা বিলে ভোট আজ
শুটিং সেটে আহত প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
X
Fresh