বিশ্বের একমাত্র মানুষ, যার কিডনি উরুতে
ইংল্যান্ডের শহর ম্যানচেস্টারের ১০ বছর বয়সী শিশু হামিশ রবিনসন বিশ্বের একমাত্র মানুষ, যার কিডনি ডান উরুতে। তার শরীরে 7p22.1 নামের ক্রোমোসোম নেই বলেই এমনটি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার (২৩ জানুয়ারি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানায় যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম ডেইলি মেইল অনলাইন। এতে বলা হয়, চিকিৎসকরা এই প্রজনন সমস্যার নাম দিয়েছে ‘হামিশ সিন্ড্রোম। উরুতে থাকলেও তার কিডনির কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে।
হামিশের মা কে রবিনসন বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল যে আমার ছেলের জীবন ঝুঁকির মুখে। কারণ কী হতে যাচ্ছে কেউ জানে না। কিডনি ভুল জায়গায় থাকায় এক কানে শ্রবণশক্তি না থাকার মতো আরও অনেক সমস্যায় ভুগতে হতে পারে তার।
হয়েছেও তাই। হামিশ হাঁপানি, মেরুদণ্ডগত সমস্যায় ভুগছে এখনও।
কে রবিনসন সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন যখন হামিশের কথা বলাতে সমস্যা দেখা দেয়। কারণ কথা বলার জন্য তার একটি ভয়েস কম্পিউটারের দরকার হয়।
হামিশ ২০০৮ সালের ২৯ মে নির্ধারিত সময়ের একমাস নয়দিন আগেই জন্মগ্রহণ করে। জন্মের সময় তার ওজন ছিল দুই পাউন্ড। জন্মগ্রহণের তিন সপ্তাহ পর তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সবসময় তার দিকে খেয়াল রাখতেন।
স্বাভাবিকভাবে হামিশ বেড়ে না ওঠায় খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে সাবেক লেকচারার কে রবিনসন শিশুটির ১৭ মাস বয়সে তাকে একজন প্রজননবিদ্যা বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান। বিশেষ করে শিশুটির কথা না বলাটাই সবচেয়ে বেশি ভাবিয়েছিল তাকে।
হামিশের মা বলেন, ১৭ মাস বয়সে প্রথম আমার ছেলে আমাকে মাম্মা বলে ডাকে এবং এরপর তার মুখ থেকে কোনও কিছু শোনার জন্য ছয় বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। মাঝেমাঝে আমার মনে হতো কোনও কিছুই আর ঠিক নেই।
আরো পড়ুন:
কে/পি
মন্তব্য করুন