বক্তৃতা স্থগিত করলেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ বক্তৃতা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে চলমান শাটডাউন বা অচলাবস্থার কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন বলে জানিয়েছে দ্য আইরিশ টাইমস।
স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন বক্তৃতা হলো ‘দেশের অবস্থা’ নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তৃতা। দেশটির ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো এই বক্তৃতা স্থগিতের ঘটনা ঘটলো।
প্রথমবার ১৯৮৬ সালের ২৮ জানুয়ারি বক্তৃতা পিছিয়ে দেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান। ওইদিন নাসার একটি মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হয়। উৎক্ষেপণের মাত্র ৭৩ সেকেন্ড পর এটি বিস্ফোরিত হয়ে সাতজন নভোচারী মারা যান। আর এ কারণেই বক্তৃতা স্থগিত করেন রিগ্যান।
১৭৯০ সালের ৮ জানুয়ারি নিউইয়র্কের ফেডারেল হলে জাতির উদ্দেশে বক্তৃতা দেন প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন। সেই থেকে প্রতি বছর প্রেসিডেন্ট তার বক্তৃতায় দেশের অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করেন। আগামী দিনে দেশ কোন পথে হাঁটবে, তারও একটা দিকনির্দেশনা দেয়া হয়। এখনকার প্রথা অনুযায়ী, হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভসের চেম্বারে (হাউস চেম্বার) এই বক্তৃতা দেন প্রেসিডেন্ট।
মূলত এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছেন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। বুধবার প্রেসিডেন্টকে পাঠানো চিঠিতে পেলোসি জানান, দীর্ঘ শাটডাউনের ফলে হাউসের কর্মী সংখ্যা অনেক কম। এই অবস্থায় প্রেসিডেন্ট, ফার্স্ট লেডি ও তাদের অতিথিদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়।
প্রেসিডেন্টকে পেলোসি লিখেছেন, আপনি চাইলে অন্য কোথাও থেকে স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন স্পিচ দিতে পারেন। কিন্তু এই অবস্থায় আপনাকে হাউস চেম্বার ব্যবহার করার অনুমতি কিছুতেই দিতে পারব না। আপনি বরং ওভাল অফিস (হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের দফতর) থেকেই ভাষণ দিন।
রিপাবলিকান ও ট্রাম্প ঘনিষ্ঠদের দাবি, নিরাপত্তার অজুহাত দিয়ে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন পেলোসি। এ সম্পর্কে প্রেসিডেন্টের ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র বলেন, এটা মূলত সেন্সরশিপ। জোর করে মুখ বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা।
ডি/এমকে
মন্তব্য করুন